থাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়ার মধ্যে সংঘর্ষের পারদ ক্রমেই চড়ছে। দুই দেশের সেনাদের গুলির লড়াইয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়েছে। কম্বোডিয়া জানিয়েছে, দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষে গুলি চালানো হয়েছে।
থাই সেনাবাহিনী জানিয়েছে, কম্বোডিয়ার সেনারা খেমার মন্দির তা মুয়েন থমের কাছে গুলি চালিয়েছে। কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক দাবি করেছে, থাই সেনারা প্রথমে গুলি চালায়। তারপরে তাদের সেনারা আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। অন্য দিকে, থাই বাহিনীর তরফে দাবি করা হয়েছে, কম্বোডিয়ায় একটি নজরদারি ড্রোন পাঠিয়েছে। তাদের দেশের ২ সেনা জওয়ান আহত হয়েছেন।
কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র মালি সোচেতা বলেন, 'আমাদের সেনারা থাই সেনাদের আক্রমণের বিরুদ্ধে তাদের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার অধিকার প্রয়োগ করেছে। থাইল্যান্ড কম্বোডিয়ার আঞ্চলিক অখণ্ডতা লঙ্ঘন করেছে।'
কম্বোডিয়ার প্রাক্তন নেতা হুন সেন ফেসবুকে এক পোস্টে লিখেছেন, থাই সেনাবাহিনী কম্বোডিয়ার দুটি প্রদেশে গুলি চালিয়েছে। দেশবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত ফেসবুকে লিখেছেন, 'কম্বোডিয়া সবসময় শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যা সমাধানের ইচ্ছাপ্রকাশ করেছে, কিন্তু এবার যখন আমাদের উপর অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করা হয়েছে, তখন আমাদেরও অস্ত্র দিয়ে জবাব দেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না।'
বৃহস্পতিবার দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষের এক দিন আগে থাইল্যান্ড কম্বোডিয়া থেকে তার রাষ্ট্রদূতকে ফিরিয়ে নিয়েছে। এর আগে, সীমান্তে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে একজন থাই সেনা জওয়ান আহত হন, যা দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ে। বুধবার থাইল্যান্ডও বলেছে যে তারা কম্বোডিয়ার রাষ্ট্রদূতকে দেশ থেকে বহিষ্কার করবে। মে মাসে দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষে একজন কম্বোডিয়ান সেনা জওয়ান নিহত হন, যার কারণে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।