কানাডার ব্রাম্পটনে হিন্দু মন্দিরের বাইরে খালিস্তানিদের বিক্ষোভে অংশ নেওয়া কানাডিয়ান পুলিশ কর্মীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সিবিসি (কানাডিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন) তাদের প্রতিবেদনে দাবি করেছেন, বরখাস্ত হওয়া পুলিশ কর্মীর নাম হরিন্দর সোহি। খালিস্তানের পতাকা হাতে ক্যামেরায় ধরা পড়েন তিনি। সোহি পিল রিজিওনাল পুলিশে সার্জেন্ট পদে কর্মরত।
পিল আঞ্চলিক পুলিশ জানিয়েছে, ইন্টারনেটে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওর বিষয়টি বিবেচনায় করা হয়েছে, যেখানে একজন অফ-ডিউটি পুলিশ সদস্যকে হিন্দু সভা মন্দিরের বাইরে বিক্ষোভে সক্রিয়ভাবে অংশ নিতে দেখা গেছে। পিল পুলিশের মিডিয়া রিলেশন অফিসার রিচার্ড চিন সিবিসিকে বলেছেন, "কমিউনিটি সেফটি অ্যান্ড পুলিশিং অ্যাক্ট লঙ্ঘনের জন্য দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর এই পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে।" তিনি আরও বলেন, এই ঘটনার আশেপাশের পরিস্থিতি তদন্ত করছে এবং তদন্ত শেষ হওয়ার পরে আরও তথ্য জানাবে।
রবিবার খালিস্তানিরা ব্র্যাম্পটনে হিন্দু সভা মন্দিরে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। খালিস্তানি পতাকা নিয়ে বিক্ষোভকারীরা মন্দিরে হিন্দুদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে খালিস্তানিদের মন্দিরের বাইরে পতাকা আটকে লাঠি দিয়ে হিন্দুদের ওপর হামলা করতে দেখা যায়।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মন্দির এবং হিন্দু ভক্তদের উপর এই হামলার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। জাস্টিন ট্রুডোর নেতৃত্বাধীন কানাডিয়ান সরকারের কাছে জবাবদিহি দাবি করেছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন কানাডা সরকার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে এবং আইনের শাসন বজায় রাখবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে লিখেছেন, 'কানাডার মন্দিরে ইচ্ছাকৃত হামলার তীব্র নিন্দা করছি। আমাদের কূটনীতিকদের ভয় দেখানোর কাপুরুষোচিত প্রয়াসও সমান ভয়ানক। এ ধরনের হিংসা ভারতের সংকল্পকে কখনওই দুর্বল করতে পারে না। আমরা আশা করি কানাডা সরকার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে এবং আইনের শাসন বজায় রাখবে।"
এদিকে, বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন, তিনি কানাডায় ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই হিংসার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে এবং তাদের বিচার করা হবে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, গতকাল অন্টারিওর ব্রাম্পটনে হিন্দু সভা মন্দিরে চরমপন্থী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দ্বারা পরিচালিত সহিংসতার নিন্দা জানাই। আমরা কানাডা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই যেন সকল উপাসনালয়কে এই ধরনের হামলা থেকে রক্ষা করা হয়।