আফগানিস্তানে নিষিদ্ধ হল দাবা খেলা। এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেখানকার তালিবান সরকার। তাদের দাবি, দাবা খেলা জুয়াকে উৎসাহ দিতে পারে। শরিয়তে নিষিদ্ধ জুয়া। সেজন্য দাবা বন্ধ করা হয়েছে। তালিবান সরকারের এক ক্রিড়া আধিকারিক এই খবর সামনে এনেছেন।
তালিবান সরকারের অন্য সব মন্ত্রকের মতো ক্রিড়া মন্ত্রকও রয়েছে। সেই মন্ত্রকের তরফে অটল মাশওয়ানি তালিবান সরকারের সিদ্ধান্তের কথা সামনে এনেছেন। তিনি জানিয়েছেন, আফগানিস্তানের মাটিতে জুয়া খেলা কোনওভাবেই মেনে নেবে না সরকার। সেজন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মাশওয়ানির কথায়, 'জুয়াকে উৎসাহিত করতে পারে দাবা খেলা। গতবছর আফগানিস্তানে যে আইন সরকার পাশ করেছে সেই অনুযায়ী জুয়া নিষিদ্ধ। সরকারের তরফে তা ঘোষণা করা হয়েছে।'
মাশওয়ানি জানান, যতদিন না পর্যন্ত আফগানিস্তান থেকে জুয়া খেলাকে নির্মূল করা যাচ্ছে ততদিন এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে। সরকার ভাবনাচিন্তা করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আফগানিস্তানে দাবা খেলা বেশ প্রচলিত। বিশেষ করে এই প্রজন্মের ছেলেরা দাবা বেশি খেলে। নানা ক্যাফেতে দাবা খেলা হয়। তবে সরকারের এই সিদ্ধান্তের পর মাথায় হাত ক্যাফে মালিকদের। কাবুলের এক ক্যাফের মালিক আজিজুল্লাহ গুলজাদা যেমন জানালেন, তাঁর দোকানে বছরের পর বছর ধরে দাবা খেলা হয়। তবে তার সঙ্গে জুয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি বলেন, 'অনেক ইসলামিক দেশে দাবা খেলা খুব জনপ্রিয়। তবে আমাদের দেশে নিষিদ্ধ করা হল। সরকারের নির্দেশ তাই মানতেই হবে। কিন্তু, দাবা খেলা বন্ধ হওয়ায় এই প্রজন্মের ছেলেরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।'
আফগানিস্তানের ক্ষমতায় তালিবান আসার পর অনেক খেলাধুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে মেয়েদের খেলাধুলোর অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দাবা খেলা বন্ধ করে দেওয়া সেদেশের জন্য খারাপ খবর।