Advertisement

China Bunker: বিশ্বের বৃহত্তম বাঙ্কার তৈরি করছে চিন, পরমাণু যুদ্ধে জিনপিং লুকোবেন?

চিন তার রাজধানী বেজিংয়ের কাছে বিশ্বের বৃহত্তম সামরিক কমান্ড সেন্টার তৈরি করছে, যা পারমাণবিক যুদ্ধের ক্ষেত্রে দেশটির নেতাদের রক্ষা করবে। এই কমান্ড সেন্টারটি রাজধানী বেজিং থেকে প্রায় ৩২ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত।

বিশ্বের বৃহত্তম বাঙ্কার তৈরি করছে চিন, পরমাণু যুদ্ধে জিনপিং লুকোবেন?বিশ্বের বৃহত্তম বাঙ্কার তৈরি করছে চিন, পরমাণু যুদ্ধে জিনপিং লুকোবেন?
Aajtak Bangla
  • নতুন দিল্লি,
  • 01 Feb 2025,
  • अपडेटेड 4:35 PM IST
  • সামরিক ঘাঁটিটিকে 'বেজিং মিলিটারি সিটি' বলা যেতে পারে
  • চিনের আর্থিক সঙ্কট সত্ত্বেও ওই ঘাঁটির নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে চলছে

চিন তার রাজধানী বেজিংয়ের কাছে বিশ্বের বৃহত্তম সামরিক কমান্ড সেন্টার তৈরি করছে, যা পারমাণবিক যুদ্ধের ক্ষেত্রে দেশটির নেতাদের রক্ষা করবে। এই কমান্ড সেন্টারটি রাজধানী বেজিং থেকে প্রায় ৩২ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। ১৫০০ একর জমিতে নির্মিত এই কমান্ড সেন্টারটি মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সদর দফতর পেন্টাগনের চেয়ে ১০ গুণ বড়। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, এই সামরিক কমান্ড সেন্টারে শক্তিশালী সামরিক বাঙ্কার তৈরি করা হতে পারে। যা পরমাণু যুদ্ধের পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-সহ শীর্ষ সামরিক কর্তাদের সুরক্ষা দেবে। ব্রিটিশ সংবাদপত্র ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস ওই কমান্ড সেন্টারের স্যাটেলাইট ছবি পেয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে ওখানে দিনরাত কাজ করছে ক্রেন।

সামরিক ঘাঁটিটিকে 'বেজিং মিলিটারি সিটি' বলা যেতে পারে। চিনের আর্থিক সঙ্কট সত্ত্বেও ওই ঘাঁটির নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। চিন আগেই একটি সিকিউরিটি কমান্ড সেন্টার তৈরি করেছে, এই সামরিক ঘাঁটি পশ্চিম পাহাড়ে অবস্থিত। চিনের বর্তমান নির্মীয়মাণ সামরিক ঘাঁটি আমেরিকান বাঙ্কার বাস্টার বোমা, এমনকি পারমাণবিক হামলা থেকেও রক্ষা করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। সামরিক ঘাঁটিতে গভীর ভূগর্ভস্থ টানেল ও শক্তিশালী প্রাচীর তৈরি করা হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে এটা সেই দিনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে যেদিন চিন পরমাণু যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে। ২০২৭ সালে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) ১০০ বছর প্রতিষ্ঠা দিবস। তখনই এই নতুন সামরিক ঘাঁটি দেশটির সামরিক সম্প্রসারণে একটি বড় পদক্ষেপ হতে চলেছে।

আমেরিকা এমনিতেই চিনের ক্রমবর্ধমান প্রতিরক্ষা সক্ষমতা নিয়ে চিন্তিত। তার মধ্যেই এই বাঙ্কার নির্মাণ আমেরিকার চিন্তা বাড়িয়ে দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা অনুমান করছেন যে ২০৩৫ সালের মধ্যে চিনের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা আমেরিকার সমান হবে। নতুন কমান্ড সেন্টার নির্মাণের পাশাপাশি চিন তার পারমাণবিক সক্ষমতাও বাড়াচ্ছে। সাম্প্রতিক স্যাটেলাইট চিত্রগুলি প্রকাশ করেছে যে চিন দুটি পারমাণবিক চুল্লি তৈরি করতে পূর্ব চিন সাগরের চাংবিয়াও দ্বীপে এলাকা পরিষ্কার করেছে।

Advertisement

আরও পড়ুন

পারমাণবিক যুদ্ধের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কোথায় লুকিয়ে থাকবেন?

পারমাণবিক যুদ্ধের সময় আমেরিকান প্রেসিডেন্টদের বাঙ্কারে লুকিয়ে রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে। আমেরিকায় পরমাণু হামলা হলে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সঙ্গে সঙ্গে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হবে। রাষ্ট্রপতির আত্মগোপনের জন্য অনেক জায়গা তৈরি করা হয়েছে। সেই বাঙ্কারগুলির মধ্যে একটি হোয়াইট হাউসের নীচে নির্মিত। পাঁচের দশকে নির্মিত এই বাঙ্কারটি একটি সুরক্ষিত এলাকা। মার্কিন প্রেসিডেন্টকে লুকিয়ে রাখার জন্য নির্মিত দ্বিতীয় বাঙ্কারটি আছে ভার্জিনিয়ার ব্লু রিজ পর্বতমালায়। ট্রাম্পের ফ্লোরিডায় তাঁর বিলাসবহুল প্রাসাদে মার-এ-লাগোতেও একটি বাঙ্কার রয়েছে। ওয়েস্ট পাম বিচে তাঁর গল্ফ কোর্সেও রয়েছে একটি বাঙ্কার। এটি আগে বোমা রাখার জন্য ব্যবহৃত হত।

Read more!
Advertisement
Advertisement