চীন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডর সিপিসিতে লগ্নি করা চিনের কোটি কোটি ডলারের মহাত্মাকাঙ্খী যোজনা বেল্ট অ্যান্ড রোডের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ, পাকিস্তানের সিপিসি যোজনা দ্রুতগতির বদলে ধীর গতির কাজ এর কারণে চিনের কোম্পানিগুলি হতাশ হয়ে পড়েছে। গোটা প্রক্রিয়ায়ে পাকিস্তানকে ভর্ৎসনা করেছে পাকিস্তানে নিযুক্ত চিনের রাষ্ট্রদূত।
পাকিস্তানের কাজের গতি সন্তোষজনক নয়
পাকিস্তান এর একটি সিনেট প্যানেল ও গত তিন বছরে হওয়া কাজের অগ্রগতি নিয়ে চিন্তা প্রকাশ করে।সিনেটের স্থায়ী সমিতির অধ্যক্ষ সেলিম মান্ডবিওয়ালা জানিয়েছেন, চিনা সিপিসির ওপর কাজ করার গতি সন্তোষজনক নয়। গত তিন বছরে পোর্টফলিওর কোনও রকম অগ্রগতি হয়নি। তিনি জানান চিনের তরফ থেকে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে। "চিনের রাষ্ট্রদূত আমাকে অভিযোগ করে জানিয়েছেন, আপনারা সিপিসিকে বরবাদ করে দিয়েছেন। এবং গত তিন বছরে কোনও কাজ হয়নি।"
পাকিস্তানের লাইফলাইন বন্ধ
জানা গিয়েছে, যে সিপিসি অথরিটি অসীম সেলিম বাজওয়া ৬০ বিলিয়ন ডলারের সিপিসি প্রজেক্টে পাকিস্তানের জন্য লাইফলাইন বলে মন্তব্য করেছিলেন। তিনি জানান যে প্রজেক্ট পাকিস্তানের পক্ষে প্রগ্রেসিভ এবং উন্নয়নের সূচক হিসেবে শামিল হবে। কিন্তু পরে বাজওয়াকে সরিয়ে দিয়ে খালিদ মাসুদকে সিপিসি অথরিটির চিফ বানানো হয়।
কাজগুলি শেষ করাই চ্যালেঞ্জ পাকিস্তানের
তারপরই মুখ থুবড়ে পড়ে কাজের অগ্রগতি। পাওয়ার প্রজেক্ট নিয়ে কমিটিকে লগ্নিকারীদের সামনে যে সমস্ত কাজগুলির নিয়ে চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তা নিয়েও আলোচনা হয়। এর মধ্যে পৃথক বৈদ্যুতিক পরিযোজনা, লম্বা সময় থেকে বকেয়া থাকা ঋণ, অটোমেটিক পেমেন্ট এর জন্য অ্যাকাউন্ট এর স্থাপনার মতো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে। মনসুরের এনার্জি পেট্রোকেমিক্যাল সেক্টরের যুক্ত থাকার ৩২ বছরের অনুভব রয়েছে।
ক্ষুব্ধ চিন
পাকিস্তানের কাজ করার গতিতে খুশি নয় চিনারা। চিনা সিপিসি কাজের মামলায় পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিশেষ সহায়ক মনসুর, মান্ডবিওয়ালাকেও সমর্থন করেছেন এবং বলেন চিনের কোম্পানি সরকারের পদক্ষেপ এবং কাজের গতিতে সন্তুষ্ট নয়। তারা নিজেরা গোয়াদার বিমানবন্দরে কাজেও প্রগতিতে খুশি নয়। যদিও তারা প্যানেলকে আশ্বাসও দিয়েছেন, তারা রিকভারি মোডে গিয়ে দ্রুত কাজ সম্পন্ন করবেন।
চিনা লগ্নিতে ৩০ টি প্রকল্পের কাজ চলছে পাকিস্তানে
তিনি বলেন, যে নিবেশকরা যোজনা বানিয়েছে, যেখানে সব চিনের লোকেরা ওয়ান উইন্ডো অপারেশনে কাজ করতে পারবে। তাতে সমস্ত কাজ দ্রুত গতিতে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। তাদের প্রাথমিক লক্ষ্য থাকবে সিসিপিসির কাজে যেন কোনও রকম সমস্যা না হয় এবং তা দ্রুত গতিতে সম্পন্ন হয়। জানা গিয়েছে, এই কমিটি সিপিসি প্রজেক্ট সম্পর্কে ১৫.৭ অরব ডলারের একটি প্রজেক্ট করছে। পাকিস্তানে এই মুহূর্তে চিনা কোম্পানিগুলি ৩০টি প্রোজেক্টের চিনের লগ্নিকারীরা কাজ করছে এবং আরও ৩৬ টি প্রজেক্টে কাজ করার বিষয়ে আলোচনা চলছে।