৯০তম জন্মদিনের আগেই তিব্বতের বৌদ্ধ ধর্মগুরু দলাই লামা জানিয়ে দিলেন, তিনি পুনর্জন্ম নেবেন। একইসঙ্গে বুধবার তাঁর ঘোষণা, গাডেন ফোডরং ট্রাস্টই একমাত্র এই পুনর্জন্ম চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত হবে। তবে চিন দাবি করেছে, শি জিনপিং সরকারের অনুমোদন ছাড়া দলাই লামার পুনর্জন্ম মেনে নেওয়া হবে না। তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন তিব্বতের ধর্মগুরু। দলাই লামার পুনর্জন্ম অবতার চিহ্নিতকরণে চিনের হস্তক্ষেপ মানা হবে না বলে সাফ জানিয়েছেন তিনি।
পুনর্জন্ম নিয়ে কী বলছেন দলাই লামা?
সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ১৪তম দলাই লামা বলেন, 'পুনর্জন্মের বিষয়ে কারও হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করা হবে না। কোনও কর্তৃপক্ষের এক্ষেত্রে কোনও অধিকার নই।' তিনি আরও জানিয়েছেন, কী উপায়ে তাঁর পুনর্জন্ম অবতার চিহ্নিত হবে তা স্পষ্ট ভাবে ইতিমধ্যেই ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার একমাত্র অধিকার থাকবে গাডেন ফোডরং অর্থাৎ দলাই লামার অফিসের। এই গাডেন ফোডরংয়ের সদস্যরাই দলাই লামার উত্তরসূরিরও খোঁজ চালাবে।
দলাই লামা বলেন, 'তিব্বতের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী নানা সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করবে গাডেন ফোডরং। এভাবেই আমার উত্তরসূরি এবং পুনর্জন্ম অবতারের খোঁজ চালাবে তারা। পূর্বের ঐতিহ্য মেনেই এই প্রক্রিয়া চলবে।' তিনি আরও বলেন, 'আমি আগেই উল্লেখ করেছিলাম, যখন ৯০-এর কোঠায় পৌঁছে যাব তখন বৌদ্ধ ধর্মের অন্যান্য গুরুদের সঙ্গে আলোচনা করব, তাঁদের প্রশ্ন করব, আদৌ দলাই লামার ইনস্টিটিউশন চলবে কি না। তবে গত ১৪ বছরে আমি প্রকাশ্যে এই নিয়ে কোনও আলোচনা করিনি।'
৯০তম জন্মদিনে বড় চমক?
জানা গিয়েছে, নির্বাসিত তিব্বতি সংসদ সদস্য, তিব্বতের প্রশাসনিক সদস্য, বিভিন্ন তিব্বতি NGO, হিমালয় অঞ্চলের বৌদ্ধ ধর্মগুরুরা, মঙ্গোলিয়ার বৌদ্ধ ধর্মগুরুরা দলাই লামাকে চিঠি লিখে আর্জি জানিয়েছেন, তাঁর প্রয়াণের পরও যেন এই লামা ঐতিহ্য বজায় থাকে। আর সে কারণেই পুনর্জন্ম নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন দলাই লামা। একইসঙ্গে সাফ জানিয়ে দেন তাঁর পুনর্জন্ম অবতার চিহ্নিত করার দায়িত্ব একমাত্র তাঁর অফিসেরই রয়েছে। যদিও বেঁকে বসেছে চিন।
প্রসঙ্গত, আগামী ৬ জুলাই ৯০ বছরে পা দেবেন দলাই লামা। গ্র্যান্ড সেলিব্রেশনের আয়োজন করা হয়েছে ধর্মশালায়। ওই দিনই পুনর্জন্ম অবতার এবং উত্তরসূরি নিয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করতে পারেন দলাই লামা।