
পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করছে পাকিস্তান। এক সাক্ষাৎকারে এমনটা দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর এমন পরিস্থিতিতেই প্রশ্ন উঠছে যে বারবার বালোচিস্তানে এত ভূমিকম্প হয়, সেটার পিছনে কি রয়েছে নিউক্লিয়ার টেস্ট?
আসলে কিছুদিন আগেই ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন যে পাকিস্তান পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা করছে। পাশাপাশি রাশিয়া, চিন এবং উত্তর কোরিয়াও যে লুকিয়ে নিউক্লিয়ার বোম টেস্ট করছে, সেটাও দাবি করেন তিনি।
ট্রাম্পের এহেন দাবির উত্তর অবশ্য দিয়েছে পাকিস্তান। CBS নিউজ পাকিস্তানের এক বিরাট আধিকারিককে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, নিউক্লিয়ার টেস্ট পাকিস্তান করছে না। আন্তর্জাতিক আইন ভেঙে কোনও কাজই ইসলামাবাদ করে না।
তবে পাকিস্তানের এই ভালো মানুষী মানতে নারাজ অনেক বিশেষজ্ঞই। তাদের মতে, পাকিস্তান মুখে এক আর কাজে এক। তাদের বিশ্বাস করার কোনও মানেই হয় না। তাই তো ট্রাম্পের দাবি সামনে আসার পরই বালোচিস্তান আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে। কারণ, এখানেই শেষ বার নিউক্লিয়ার টেস্ট করে পাকিস্তান। আর ঘটনাচক্রে সেখানেই গড়ে প্রতিবছর ২৯ বার ভূমিকম্প হয়। এই ভূমিকম্পের সঙ্গে নিউক্লিয়ার টেস্টিংয়ের কোনও লিংক রয়েছে কি, সেটাই এখন বিরাট প্রশ্ন।
নিউক্লিয়ার টেস্টিংয়ের সঙ্গে কি জড়িত ভূমিকম্প?
এই প্রশ্নের কোনও সরাসরি উত্তর নেই। কারণ, নিউক্লিয়ার টেস্টিং এবং ভূমিকম্প নিয়ে একাধিক গবেষণা হয়েছে এবং এখনও চলছে।
এই প্রসঙ্গে একটা গবেষণা সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেস ন্যাশনাল ল্যাবরেটরিতে। সেখানে দাবি করা হয়েছে যে ভূমিকম্প হতে পারে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষার জন্য। শুধু তাই নয়, একটি সিগন্যাল ডিটেক্টর যন্ত্রের মাধ্যমে ১.৭ টনের কোনও বিস্ফোরণকে ৯৭ শতাংশ পর্যন্ত ধরা যায়। এই গবেষণার নেতৃত্ব দেন জসুয়া কারমাইকেল। এটি প্রকাশিত হয় বুলেটিন অব দ্য সিসমোলজিক্যাল সোসাইটি অব আমেরিকায়।
বালোচিস্তানের ভূমিকম্পের পিছনে কী কারণ?
সেটা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। তবে একটা কথা জেনে রাখুন, এই অঞ্চলটি ইন্ডিয়ান প্লেট এবং ইউরেশিয়ান প্লেটের উপর অবস্থিত। এক্ষেত্রে ইন্ডিয়ান প্লেট ধীরে ধীরে প্রবেশ করছে ইউরেশিয়ান প্লেটের নীচে। যার ফলে প্রেশার বাড়ছে। আর সেই কারণেও ভূমিকম্প হতে পারে। তাই এটা নিশ্চিত করে বলা যাবে না যে পাকিস্তান নিউক্লিয়ার টেস্টের জন্যই সেখানে ভূমিকম্পে হচ্ছে। তবে তাই বলে ইসলামাবাদকে বিশ্বাস করে লাভ নেই। এরা অনেক কিছুই করতে পারে।