রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন সব সময় কোনও না কোনও কারণে চর্চার মধ্যে থাকেন। কখনও লাকজারি লাইফস্টাইলের কারণে, কখনও নিজের শখের কারণে তো কখনও তার বাড়ির লিক হয়ে যাওয়া ফটোর কারণে। পুতিনের বিষয়ে অনেকে বলেন যে তিনি তার ফ্যামিলির বিষয়ে খুব কম লোকের জানা রয়েছে। বলা হয় যে তার নিজের ফ্যামিলির তথ্য তিনি গোপন রাখেন।
রহস্যে ঘেরা পরিবারের পরিচয়
কিছু সময় আগে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি পুতিনের করোনা ভ্যাকসিনেশনের সময় নিজের মেয়ের বিষয়ে কথা বলেছিলেন, যে তাঁর মেয়ে ভ্যাকসিন নিয়েছে। এছাড়া পুতিন কখনও নিজের মেয়েদের সম্পর্কে বিশেষ কিছু বলেন না। তাঁদের পরিচয় সামনে আনেন না। তিনি শুধুমাত্র এটা বলেছেন বলে শোনা গিয়েছে যে আমার দুই মেয়ে রয়েছে। তাঁর ফ্যামিলি সব সময় স্পটলাইট থেকে দূরে থাকে। আজ আমরা তাঁর ফ্যামিলি নিয়ে কথা বলবো।
পুতিনের স্ত্রী
পুতিনের সঙ্গে তার প্রথম স্ত্রীর ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে। এটি ঘোষণা পুতিন একটি টিভি চ্যানেলে করেছিলেন। পুতিনের প্রাক্তন পত্নীর নাম ল্যুডমিলা। তিনি এয়ার হোস্টেসের চাকরি করতেন। তখন সেটি অত্যন্ত উঁচু দরের চাকরি বলে পরিগণিত হতো। ১৯৮০ সালে শুরুতে দুজনের পরিচয় হয় থিয়েটারে। দুজনে একটি কমন ফ্রেন্ড এর আমন্ত্রণে সেখানে হাজির হয়েছিলেন। তারপর তাঁরা বন্ধুত্বে জড়িয়ে পড়েন। নিউজ পেপারের খবর অনুযায়ী ২৮ জুলাই ১৯৭৩ সালে পুতিন এবং তাঁর প্রাক্তন পত্নীর ল্যুডমিলার ছবি সামনে আসে। নিজের বিয়ের প্রায় ৩০ বছর পর অর্থাৎ ২০১৩ সালে স্ত্রীর সঙ্গে আলাদা হওয়ার কথা ঘোষণা করেন। যদিও এখনও এটি সম্পূর্ণভাবে স্পষ্ট নয় যে কোন বছর তাঁদের বিয়ে হয়েছিল।
পুতিনের মেয়েরা
বিজনেস ইনসাইডারের খবর অনুযায়ী রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি পুতিন এবং ল্যুডমিলার দুই মেয়ে রয়েছে। যার নাম মারিয়া ভারতসোভা এবং ক্যাটরিনা তিকোনোভা। এই রিপোর্টে বলা হয়েছে যে মারিয়া ভারতসোভার জন্ম ১৯৮৫ সালে লেনিনগ্রাদে হয়েছে এবং তার এক বছর পর ক্যাটরিনা ১৯৮৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন জার্মানিতে। মেয়ের নাম ঠাকুরমার নামে রাখা হয়েছিল। মারিয়ার ডাকনাম মাশা এবং ক্যাটরিনা ডাকনাম কাট্যা।
রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর স্কুল ছাড়িয়ে দেন মেয়েদের
১৯৯৬ সালে পুটিন নিজের পরিবারের সঙ্গে মস্কো চলে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি ভারতসোভা এবং ক্যাটরিনাকে জার্মান ভাষা স্কুলে পড়াশোনা করিয়েছেন। যদিও কথিত ভাবে জানা গিয়েছে পুতিনের কার্যবাহক রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর ১৯৯৯ সালে তাঁর মেয়েদের স্কুল থেকে নাম কেটে দেওয়া হয় এবং তারপর ঘরের থেকেই পড়াশোনা শুরু করেন।
মেয়েদের পড়াশোনা
বিজনেস ইনসাইডারের খবর অনুযায়ী প্রতিনিয়ত দুই মেয়ের নাম বদলে ফেক আইডেন্টিটি সঙ্গে কলেজে এডমিশন নেওয়ানো হয়। ভারতসোভা প্রথমে জীববিজ্ঞান এবং পরে মেডিসিনের পড়াশোনা করেছেন সঙ্গে ক্যাটরিনা এশিয়ান স্টাডিজ পড়াশোনা করেন।
বলা হয় যে ভারতসোভা মস্কো মেডিকেল রিসার্চার এবং তার বিয়ে জোরিত ফাঁসের সঙ্গে হয়েছে। শোনা গিয়েছে যে দুজনের একটি বাচ্চাও রয়েছে। ক্যাটরিনা ফিজিক্সে এবং গণিতে মাস্টার ডিগ্রি নেন এবং সঙ্গে অ্যাক্রোবেটিক rock-n-roll ডান্সার হিসেবেও নাম করেন। তিনি মস্কো স্টেট ইউনিভার্সিটির আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইনস্টিটিউটের হেড বলে শোনা গিয়েছে। ২০১৩ সালের রাশিয়ার কোটিপতি ব্যবসায়ীর সঙ্গে বিয়ে করেন এতে পাঁচ বছর পর দু'জনের ডিভোর্স হয়ে যায়।