মেডিকেলের ইতিহাসে প্রায় দিনই এমন এমন ঘটনা ঘটতে থাকে, যা দেখে ডাক্তাররা হয়রান হয়ে পড়েন। আমেরিকান জার্নাল অফ গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিতে সম্প্রতি আমেরিকার একটি ৬৩ বছর বয়সী ব্যক্তির শরীরে এম কিছু আবিষ্কার করেছেন চিকিৎসকরা, যা চমকে দেওয়ার মতো। এর মধ্যে এক ব্যক্তির শরীরের ভিতরে যা দেখা গিয়েছে, এতে ডাক্তারদের অজ্ঞান হওয়ার অবস্থা।
আসলে এই ব্যক্তি এই বছরের শুরুতে ক্যান্সারের রেগুলার ট্রিটমেন্টের জন্য এসেছিলেন। মুসৌরি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তার কোলোনোস্কপি এই প্রক্রিয়ায় কোনও অস্বাভাবিকতা খুঁজে বের করার জন্য তার অন্ত্রের মধ্যে দিয়ে ক্যামেরা প্রবেশ করান। শরীরে ক্যামেরা ঢোকানোর পর চিকিৎসকের চোখে যা পড়ে তাতে তাদের মাথা ঘুরে যায়। তাঁরা দেখেন একটা মাছি কোনওভাবে গ্যাস্ট্রিক এসিড থেকে বেঁচে গিয়েছে এবং ওই ব্যক্তির শরীরের ভেতরে জীবিত অবস্থায় আরামে বসে আছে। চিকিৎসকের আমেরিকান জার্নাল অফ গ্যাস্ট্রলজিতে লিখেছেন যে এই ঘটনা দুর্লভ। যদিও ওই মাছিটি ওই ব্যক্তির পেটে জীবিত অবস্থায় কী করে ঢুকলো এই বিষয়টি তারা উদ্ধার করতে পারেননি।
এটা একটা সত্যি ঘটনা, যে সবজি এবং ফলের মধ্যে রাখা মাছির লার্ভা কখনও কখনও আমাদের পেটে অ্যাসিড থেকে বেঁচে যেতে পারে এবং এরপর আমাদের অন্ত্রের মধ্যেই সেটি জন্ম নেয়। চিকিৎসকের বক্তব্য অনুযায়ী রোগী কোলনোস্কপির একদিন আগে কেবল লিকুইড ভোট খেয়েছিলেন। নিজে ২৪ ঘন্টা উপাস করার একদিন আগে তিনি খেয়েছিলেন পিজ্জা।তিনি নিজের খাওয়াতে কোনও মাছি বা নোংরা কিছু দেখতে পাননি। চিকিৎসকেরা অনেক খোঁচাখুঁচির পর ও মাছি সম্পর্কিত কোনও রকম তথ্য পাননি। মাছিটিকে অনেক চেষ্টা করেও বের করা যায়নি এবং তার পেটের মধ্যে দিব্যি বসে আছে। এটি বের করার জন্য চিকিৎসা করা সম্পূর্ণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এটা কোনও প্রথম ঘটনা নয় যে লোকেদের শরীরের ভেতর এরকম অদ্ভুত বিষয় লক্ষ্য করা গিয়েছে। এর আগে পাঞ্জাবের মোগাতে চল্লিশ বছর বয়সী ব্যক্তির পেট থেকে অপারেশন করে বিভিন্ন রকমের জিনিস বের করা হয়। ৩ ঘন্টা লম্বা চলা সার্জারিতে ব্যক্তির পেট থেকে ইয়ারফোন, নাট বল্টু, রাখি, মালা, সেফটিপিন লকেট সহ একশোর বেশি জিনিস বেরিয়েছিল। ওই ব্যক্তির পরিবার জানিয়েছিল যে, এই সমস্ত জিনিস সে কবে খেয়ে ফেলেছে তাঁরা জানেন না।