'গাজায় যুদ্ধ থেমে গিয়েছে'। এমনটাই দাবি করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইতিমধ্যেই তিনি ইজরায়েলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। হামাসের সঙ্গে ইজরায়েলের যুদ্ধবিরতির পর এই প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট পা রাখবেন সে দেশে। ইজিপ্টে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার বৈঠকে যোগদানের আগে ইজরায়েলের নেসেস্টে বক্তব্য রাখবেন ট্রাম্প।
রওনা হওয়ার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, 'আপনারা সকলে বুঝে নিন, যুদ্ধ থেমে গিয়েছে।' তবে গাজার ভবিষ্যৎ কী? এই প্রশ্নের উত্তরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, 'আমার মনে হয়ে এবার সব আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হয়ে যাবে।' নিজের এয়ার ফোর্স ওয়ান বিমানে ওঠার আগে তিনি আরও বলেন, 'ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ থামানোর জন্য কাতারকে ক্রেডিট দেওয়া উচিত। খুব ভাল কাজ করেছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।'
ডোনাল্ড ট্রাম্প এ-ও জানিয়েছেন, গাজায় শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের আগেই হয়তো ইজরায়েলি কয়েকজন যুদ্ধবন্দিকে মুক্তি দিয়ে দেবে হামাস। তাঁর কথায়, 'সকলেই খুব খুশি। ইহুদি হোক বা মুসলিম কিংবা আরব দেশগুলি। ইজরায়েল থেকে আমরা ইজিপ্টে যাব। বড় বড় দেশের সমস্ত নেতাদের সঙ্গে আমাদের সাক্ষাৎ হবে। প্রত্যেকেই এই চুক্তিতে রয়েছেন।'
রবিবার হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর তৃতীয় দিন ছিল। এই যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতা করেছে আমেরিা, ইজিপ্ট, কাতার এবং তুরস্ক। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর যে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল এবং যাতে মৃত্যুমিছিল দেখেছে বিশ্ব, তা অবশেষে থামতে চলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
লোহিত সাগরের পাড়ে ইজিপ্টের শর্ম এল-শেখ রিসর্ট সিটিতে সে দেশের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফতেহ এল-সিসি এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার এই শান্তি প্রক্রিয়ার প্রতিনিধিত্ব করবেন। ২০ দেশের তাবড় নেতারা উপস্থিত থাকবেন। শান্তি চুক্তি এবং গাজায় যুদ্ধ পরবর্তী সংস্কারের বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে সেই বৈঠকে। জানা গিয়েছে, ফ্রান্স, ব্রিটেন, ইতালি, তুরস্ক, জর্ডন, সৌদি আরব এবং ভারতের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন এই বৈঠকে। থাকবে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যান্তোনিও গুতেরাস এবং ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট অ্যান্তোনিও কোস্টা। প্যালেস্তাইন অথরিটি নিশ্চিত করেছে প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস যোগ দেবেন এই বৈঠকে। তবে গাজার এই শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের সময়ে উপস্থিত থাকবে না হামাসের কোনও প্রতিনিধি।
ভারতের তরফে উপস্থিত থাকবেন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তিবর্ধন সিংহ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফতেহ আল-সিসি। একেবারে শেষ মূহূর্তে এই আমন্ত্রণ জানানো হয় মোদীকে। তবে পরে সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, মোদীর দূত হয়ে ওই সম্মেলনে যাচ্ছেন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী। যদিও দিল্লির তরফে সরকারি ভাবে এ বিষয়ে কোনও ঘোষণা করা হয়নি।