Advertisement

'ও খুব লম্বা, আমার জন্য জেলেনস্কিই ঠিক আছে!' মাইক অন, খেয়াল না করেই যা সব বললেন মেলোনি

ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে খোশগল্পে মত্ত জর্জিয়া মেলোনি। ব্যক্তিগত সমস্ত কথোপকথন আচমকাই শোনা গেল প্রকাশ্যে। ওভাল অফিসের মিটিংয়ে হট মাইক অনের ঘটনায় লজ্জায় লাল ইটালির প্রধানমন্ত্রী। কী কী কথা হচ্ছিল দুই রাষ্ট্রপ্রধানের?

মাইক অন করেই খোশগল্প সকলেরমাইক অন করেই খোশগল্প সকলের
Aajtak Bangla
  • ওয়াশিংটন ,
  • 20 Aug 2025,
  • अपडेटेड 8:54 AM IST
  • হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে খোশগল্প মেলোনির
  • ব্যক্তিগত কথোপকথনের পর্দাফাঁস
  • মাইক্রোফোন অন ছিল বুঝতেই পারেননি তাঁরা

রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ থামিয়ে শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যে যারপরনাই চেষ্টা চালাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই যুদ্ধ থামানোর সমস্ত ক্রেডিট নিতে প্রবল আগ্রহী তিনি। এই লক্ষ্যে প্রথমে পুতিন এবং তারপর জেলেনস্কির সঙ্গে যথাক্রমে আলাস্কা এবং ওয়াশিংটনে বৈঠক করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ওভাল অফিসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের সময়ে উপস্থিত ছিলেন ইউরোপের নানা দেশের রাষ্ট্রনেতারাও। মিটিং শুরুর আগেই ঘটেছে বিপত্তি। ট্রাম্পের সঙ্গে খোশগল্পে মজে থাকা ইটালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি বুঝতেই পারেননি অন ছিল তাঁর সামনে টেবিলে রাখা মাইক্রোফোন। যাতে ফাঁস হল তাঁদের সমস্ত ব্যক্তিগত কথোপকথন। 

জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে বসার আগে ইউরোপের তাবড় রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ট্রাম্প। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েন ম্যাক্রোঁর সঙ্গে কথা বলেন প্রথমে। সে সময়েও তাঁদের মাইক্রোফোন অন ছিল। ট্রাম্পকে বলতে শোনা যায়, 'তোমায় ভাল দেখতে লাগছে। ট্যান পড়ে গিয়েছে মুখে।' জবাবে ম্যাক্রোঁকে বলতে শোনা যায়, 'এই কাজটা করছো, তার জন্য তোমায় ধন্যবাদ।' ঠিক তখনই ট্রাম্প বলে ওঠেন, 'এই বৈঠকের মাঝেই আমি পুতিনকে ফোন করতে পারি এবং ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডাকতে পারি। আমার মনে হচ্ছে উনিও চাইছেন একটা সমঝোতা হোক। আমার জন্যই উনি এই সমঝোতায় রাজি হবেন। বিশ্বাস করতে পারছো? চলো বসা যাক।'

জার্মানির চান্সেলর মার্জকে ট্রাম্প বলেন, 'কেমন আছেন আপনি? সব ঠিক আছে তো? দারুন লাগছে।' তাঁরা হট মাইক অন রয়েছে, সে কথা না জেনেই কথোপকথন শুরু করেন। সবচেয়ে চর্চিত হচ্ছে জর্জিয়া মেলোনি এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফাঁস হওয়া ব্যক্তিগত কথোপকথন নিয়ে। মাইক্রোফোন অন রয়েছে, সেকথা দু'জনের কারওই জানা ছিল না। 

মেলোনিকে বলতে শোনা যায়, 'জার্মানির চান্সেলর কি লম্বা না?' ট্রাম্প তাঁকে বলেন, 'হ্যাঁ, উনি খুই লম্বা এবং সুন্দর।' আবার মেলোনি বলে ওঠেন, 'আমি ওঁর পাশে দাঁড়াব না। আমার জন্য জেলেনস্কিই ঠিক আছে।'

Advertisement

ম্যাক্রোঁ, ট্রাম্প এবং মেলোনি, তিনজনে কথোপকথনও হট মাইকে রেকর্ড হয় তাঁদের অজান্তে। যেখানে ট্রাম্প জানান, ওভাল অফিসের ঠিক কোন অংশটিতে তিনি বল রুম তৈরি করছেন। আবার ম্যাক্রোঁ জানান, তাঁর মতে জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক সফল হবে এবং মেলোনিও তাতে সায় দেন। 

উল্লেখ্য, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদেমির জেলেনস্কি এবং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ১৮ অগাস্ট, সোমবার হোয়াইট হাউসে বৈঠক করেন। যেখানে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ সমাপ্তির দিশা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। সেই বৈঠকে ইউরোপের একাধিক রাষ্ট্রপ্রধান উপস্থিত ছিলেন। তালিকায় ছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, জার্মানির চান্সেলর ফ্রেডরিক মার্জ, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, ইটালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টুভ এবং ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুট। 

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সোমবার হোয়াইট হাউসের বৈঠকের আগে জেলেনস্কিকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, রাশিয়ার কাছে যুদ্ধে যে অংশগুলি ইউক্রেন হেরে গিয়েছে, তা ফেরত পাওয়ার কথা ভুলে যেতে হবে। একইসঙ্গে ন্যাটোতে সামিল হওয়ার চিন্তাভাবনাও ছাড়তে হবে তাঁকে। ট্রাম্প আরও জানিয়ে দেন, এই যুদ্ধ শেষ হবেই। যে কোনও পরিস্থিতিতে এটি শেষ হবে। তবে ইউক্রেনকে ন্যাটোর মতোই সুরক্ষা দেবে আমেরিকা।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টও যুদ্ধ সমাপ্ত করার জন্য ৩টি শর্ত রেখেছেন। এক, ইউক্রেনকে সুরক্ষা প্রদানের গ্যারান্টি, সেনা বাড়ানোর স্বাধীনতা এবং দেশে ভোটগ্রহণের অধিকার। এবার এই শর্ত নিয়ে পুতিনকে ট্রাম্প রাজি করাতে পারেন কি না, সেটাই এখন দেখার। 

 

Read more!
Advertisement
Advertisement