
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রবিবার মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে পৌঁছেছেন, তাঁর পাঁচ দিনের এশিয়ান সফরের প্রথম ধাপ। এটি দ্বিতীয়বার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে ট্রাম্পের প্রথম এশিয়া সফর। এশিয়ায় চিনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের বিরুদ্ধে আমেরিকার জন্য শক্তিশালী অংশীদার গড়ে তোলা তাঁর এই সফরের লক্ষ্য।
ট্রাম্পের ডান্স
কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে নামার পরে ট্রাম্পকে খোশ মেজাজে দেখা যায়। কে বলবে তিনি ২৩ ঘণ্টার বিমান যাত্রা করে এসেছেন। বিমানবন্দরে স্থানীয় শিল্পীদের সঙ্গে নাচতে শুরু করেন। এয়ার ফোর্স ওয়ান থেকে নামার পরে তাঁকে লাল গালিচায় স্বাগত জানানো হয়। রঙিন পোশাক পরিহিত শিল্পীরা বোর্নিও আদিবাসী, মালয়, চিনা এবং ভারতীয়-সহ মালয়েশিয়ার প্রধান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের জন্য স্বাগত অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেছিলেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম, যাকে তাঁর অতিথির সঙ্গে গানের তালে নাচতে দেখা গিয়েছিল। দূতাবাসের কর্মকর্তারা এবং বিপুল সংখ্যক মানুষ করতালি দিয়ে আমেরিকান এবং মালয়েশিয়ার পতাকা তুলে ধরেছিলেন।
ট্রাম্পের পাঁচ দিনের এশিয়া সফর এই অঞ্চলে আমেরিকার অবস্থান এবং বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করার একটি প্রচেষ্টা। তিনি মালয়েশিয়ায় আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। এরপর, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টোকিও যাবেন, যেখানে তিনি নবনির্বাচিত জাপানি প্রধানমন্ত্রী সানে তাকাইচির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করবেন। সেখান থেকে তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার গিয়ংজু যাবেন এবং এশিয়া-প্যাসিফিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা (এপেক) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন।
এই শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে ট্রাম্প চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দেখা করবেন। ট্রাম্প এবং জিনপিং বাণিজ্য আলোচনা এবং মার্কিন-চিন উত্তেজনা নিয়ে আলোচনা করবেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন যে তিনি চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে তাইওয়ান ইস্যু এবং হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী নেতা জিমি লাইয়ের মুক্তি নিয়েও আলোচনা করবেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডিমিলিটারাইজড জোনে (ডিএমজেড) উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে একটি অনানুষ্ঠানিক বৈঠকও করতে পারেন।