আমেরিকায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর বৈঠকে উঠল বাংলাদেশ প্রসঙ্গ। গত বছর থেকে অশান্ত বাংলাদেশ। ইউনূস সরকারের আমলে সে দেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে। রাজনৈতিক দিক থেকে অস্থির বাংলাদেশ নিয়ে এবার মুখ খুললেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। শুক্রবার ভারতীয় সময় ভোরে মোদীর সঙ্গে বৈঠকের পর যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বললেন, বাংলাদেশে আমেরিকার কোনও ভূমিকা নেই। এ-ও বললেন যে, প্রধানমন্ত্রী মোদীই বাংলাদেশের দিকটি দেখবেন।
বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদল নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল ট্রাম্পকে। একজন সাংবাদিক ট্রাম্পকে জিজ্ঞাসা করেন, বাংলাদেশ সম্পর্কে আপনি কী বলতে চান, কারণ আমরা দেখেছি, বাইডেন প্রশাসনের সময় আমেরিকা কীভাবে কাজ করছিল? তারপর মহম্মদ ইউনূস জর্জ সোরোসের পুত্রের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। এই প্রেক্ষাপটে আপনি বাংলাদেশ সম্পর্কে কী বলতে চান? এ প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, সেখানে আমাদের দেশের কোনও ভূমিকা নেই।
এই প্রসঙ্গে ট্রাম্প আরও বলেন, 'আমাদের দেশের কোনও ভূমিকা নেই। এটি এমন একটি ইস্যু যার ওপর প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন এবং বহু বছর ধরে এটি নিয়ে কাজ করেছেন...আমি এখন প্রধানমন্ত্রীর হাতে বাংলাদেশ ছেড়ে দিচ্ছি।' ট্রাম্প যখন এ কথা বলেন, তখন তাঁর পাশেই বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
প্রধানমন্ত্রী মোদীও বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেছেন। এই তথ্য দিয়েছেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি। তিনি বলেছেন যে, প্রধানমন্ত্রী মোদী বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলী এবং সমগ্র পরিস্থিতিকে ভারত কীভাবে দেখছে সে সম্পর্কে তাঁর মতামত এবং উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। আশা করি যে, বাংলাদেশের পরিস্থিতিও এমন একটি দিকে অগ্রসর হবে যেখানে আমরা তাদের সঙ্গে গঠনমূলক এবং স্থিতিশীলভাবে সম্পর্ক চালিয়ে যেতে পারি, তবে সেই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।'
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে পালাবদলের পর সে দেশের পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে ভারত। ভারতে রয়েছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত অগাস্টে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের তাল কেটেছে। এই প্রেক্ষাপটে ট্রাম্প যেভাবে বাংলাদেশ ইস্যুতে মোদীর পাশে দাঁড়ালেন, তা কূটনৈতিক দিক থেকে উল্লেখযোগ্য বলে মনে করা হচ্ছে।