Advertisement

Donald Trump: 'বন্ধু' মোদীর সঙ্গে কথা বলতে ছটফট করছেন ট্রাম্প, শুনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বললেন...

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট শীঘ্রই ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন। ফের একবার সুর নরম করে ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্যিক সমঝোতা সফল হবে।

Aajtak Bangla
  • ওয়াশিংটন ,
  • 10 Sep 2025,
  • अपडेटेड 8:02 AM IST
  • ফের সুর নরম ডোনাল্ড ট্রাম্পের
  • মোদীকে বন্ধু বলে ফের সম্বোধন
  • খুব শীঘ্রই ফোনে কথা বলবেন বলেও জানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট

তাঁর সরকার নিয়মিত ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সমঝোতার বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ রাখছে। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান়্লে ট্রুথ সোশ্যালে এই কথা লিখলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুধু তাই নয়, ফের ভোলবদল করে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জানালেন, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলতে চান। তিনি আত্মবিশ্বাসী, ভারতের সঙ্গে এই নিয়মিত আলোচনা সফল হবে। 

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, 'দুই মহান দেশের জন্যই বাণিজ্যিক সমঝোতার আলোচনা সফল হবে, আমি নিশ্চিত।' এর আগে তিনি অবশ্য মনে করেছিলেন, চিনের কাছে বশ্যতা স্বীকার করে ফেলেছে ভারত এবং রাশিয়া। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে শি জিনপিং এবং ভ্লাদিমির পুতিনকে এক ফ্রেমে দেখে বেজায় চটেছিলেন তিনি। তবে এবার তাঁর গলার স্বর নরম বলেই মনে করা হচ্ছে। ট্রাম্পের পোস্ট দেখে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদীও।

এক্স হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, 'ভারত এবং আমেরিকা দীর্ঘদিনের বন্ধু। আমি আত্মবিশ্বাসী দুই দেশের বাণিজ্যিক সমঝোতা সীমাহীন সম্ভাবনা তৈরি করবে। খুব দ্রুত এই চুক্তি সম্পন্ন করতে আমাদের প্রতিনিধিরা কথাবার্তা চালাচ্ছেন। আমিও ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলতে আগ্রহী। দুই দেশের নাগরিকদের উন্নত এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দিতে আমরা আগামী দিনেও একসঙ্গেই কাজ করব।'

ত্রিমূর্তিকে SCO সামিটে খোশমেজাজে দেখার পরই জ্বলেপুড়ে যাচ্ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। পরে অবশ্য খানিকটা স্ট্র্যাটেজি করেই তিনি নরেন্দ্র মোদীকে, 'মহান প্রধানমন্ত্রী' বলে উল্লেখ করেছিলেন। জানিয়েছিলেন, তাঁরা চিরকাল বন্ধু থাকবেন। জবাব দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীও। তিনি বলেছিলেন, তিনি হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে ট্রাম্পের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছেন। তাঁর আবেগ সম্পর্কে তিনি অবগত এবং আগামী দিনে ইতিবাচক সম্পর্ক দুই দেশের মধ্যে বজায় থাকবে বলেই তিনি মনে করেন। 

তবে ওয়াশিংটন আর নয়াদিল্লির সম্পর্কে একপাক্ষিক বলে মন্তব্য করে বসেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিছুটা যেন অভিমানের সুরেই তিনি সমালোচনা করেছিলেন ভারত ও রাশিরা বাণিজ্যিক চুক্তিকে। 

গত কয়েক মাস ধরেই ভারত এবং আমেরিকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে চিড় ধরেছে। ভারতের উপর ৫০% ট্যারিফ চাপিয়েছে ট্রাম্পের দেশ। রাশিয়া থেকে তেল ক্রয় করা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আবার কখনও তিনি দাবি করেছেন, চাপে পড়ে ভারত মার্কিন পণ্যের উপর ট্যারিফ শূন্য করে দিতেও চেয়েছে। 

Advertisement

ভারতের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা ভি অনন্থ নাগেশ্বরণ সম্প্রতি সতর্কবার্তা দিয়ে জানিয়েছেন, দেশের GDP আধ শতাংশ কমিয়ে দিতে পারে আমেরিকার এই শুল্ক। 

 

Read more!
Advertisement
Advertisement