Advertisement

Nobel Peace Prize 2025: 'আমার হয়েই নোবেল নিয়েছে ভেনেজুয়েলার মারিয়া,' শান্তি পুরস্কার মিস হওয়ায় পর বললেন ট্রাম্প

নোবেল শান্তি পুরস্কার হাতছাড়া হওয়ায় কি প্রলাপ বকছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প? তিনি বলছেন, তাঁর হয়েই নাকি নোবেল পুরস্কারটি গ্রহণ করেছেন মারিয়া কোরিয়া মাচাদো। ভেনেজুয়েলার এই পুরস্কার প্রাপক অবশ্য ট্রাম্পকেই উৎসর্গদ করেছেন তাঁর পুরস্কার।

ডোনাল্ড ট্রাম্প, মারিয়া কোরিনা মাচাদো ডোনাল্ড ট্রাম্প, মারিয়া কোরিনা মাচাদো
Aajtak Bangla
  • ওয়াশিংটন ,
  • 11 Oct 2025,
  • अपडेटेड 9:48 AM IST
  • নোবেল মিস হয়ে প্রলাপ বকছেন ট্রাম্প
  • মারিয়া কোরিনা মাচাদো তাঁর হয়েই পুরস্কার গ্রহণ করেছেন
  • দাবি করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট

নোবেল শান্তি পুরস্কার না পেয়ে গোঁসাঘরে খিল দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। অবশেষে সাংবাদিকদের সামনে মুখ খুললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাঁর বক্তব্য, 'আমার হয়েই ভেনেজুয়েলার বিরোধী দলনেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদো নোবেল পুরস্কার গ্রহণ করেছেন।'

এখানেই শেষ নয়। মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবি, 'যে মানুষটা নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলেন, তিনি আমায় আজ ফোন করেছিলেন। উনি বললেন, আপনিই এই সম্মানের যোগ্য তাই আপনার হয়েই আমি এই পুরস্কার গ্রহণ করলাম।' বিষয়টি তাঁর অত্যন্ত ভাল লেগেছে বলে উল্লেখ করেন ট্রাম্প। একইসঙ্গে সহাস্যে বলেন, 'আমি কিন্তু ওঁকে বলিনি, পুরস্কার আমায় দিয়ে দাও। আমি তো ওঁকে শত শত মানুষের প্রাণ বাঁচাতে সাহায্যই করেছি।'

শুক্রবার নোবেল শান্তি পুরস্কার মিস হতেই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে এক্স হ্যান্ডলে বয়ে যায় মিমের বন্যা। হাত পা ছুড়ে ট্রাম্প কান্নাকাটি করছেনস এমন AI ছবি থেকে শুরু করে একের পর এক ক্যাপশনে হাসির খোরাক হয়ে ওঠে এই বিষয়টি। 

এদিকে, ভেনিজুয়েলার নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত সমাজকর্মী তথা বিরোধী দলনেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদো এই সম্মানের কেবলমাত্র নিজের দেশের মানুষকেই নয়, উৎসর্গ করেছেন স্বয়ং ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। এক্স পোস্টে তিনি লেখেন, 'ভেনেজুয়েলার যে সকল মানুষ এতকাল নির্যাতন সহ্য করে এসেছেন, এই সম্মান তাদের উৎসর্গ করলাম। এবং এই সম্মান উৎসর্গ করব প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে, কারণ তিনি আমাকে সর্বদা সাহায্য করেছেন।'

অবশ্য মারিয়া কোরিনা মাচাদোর নাম ঘোষণার পর হোয়াইট হাউস নোবেল কমিটির উপর ক্ষোভ উগরে দেয়। মেধা না দেখে রাজনীতি করেছে নোবেল কমিটি, এমন অভিযোগও তোলে ওভাল অফিস। এক্স হ্যান্ডলে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র স্টিভেন চেউং বলেন, 'প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এরপরও একের পর এক শান্তি চুক্তি করবেন। যুদ্ধ থামাবেন, প্রাণ বাঁচাবেন। উনি মানবিক এবং তাঁর মতো এ জগতে আর কেউ নেই যিনি নিজের মনের ইচ্ছেয় পাহাড় টলাতে পারেন।'

গোটা বিশ্ব জুড়ে একের পর যুদ্ধ থামিয়েছেন এই দাবি করে ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেকে নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য দাবিদার বলে এসেছেন। ৮টি যুদ্ধ থামিয়েছেন বলে একাধিকবা দাবি করেছেন। সেই তালিকায় রয়েছে গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষও। তিনি বলেছেন, 'ভারত এবং পাকিস্তানের সংঘর্ষের সময়ে ৭টি যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছিল। অত্যন্ত খারাপ পর্যায়ে চলে গিয়েছিল দুই দেশের সংঘাত। বাণিজ্যের কথা বলেই সেটি থামিয়েছি। আমি ট্যারিফের কথা বলি ওদের। বলেছিলাম, যুদ্ধ না থামালে তোমাদের দেশের উপর বড়সড় শুল্কের বোঝা চাপিয়ে দেব। তখনই দুই দেশে যুদ্ধ থামিয়ে দেয়। ওরা দু'জনেই তো পরমাণু শক্তিধর দেশ।' বারবার এই সংঘাত থামানোর দাবি করলেও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্য খারিজ করে দিয়েছে ভারত সরকার। 

Advertisement

ভেনিজুয়েলার মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা এবং দেশকে একনায়কতন্ত্রের হাত থেকে বের করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তাঁর অবদানের জন্যই নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন মারিয়া কোরিনা মাচাদো। তবে বারবাল ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেকে 'পিস প্রেসিডেন্ট' বলে উল্লেখ করে দাবি করেছেন, তাঁর মতো এতগুলি সংঘাত থামিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করার রেকর্ড আর কারও নেই। ভারত-পাকিস্তান, ইজরায়েল-ইরান এমনকী থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার মতো একের পর এক যুদ্ধ থামিয়ে তিনি নাকি শান্তি পুরস্কার ৪-৫ বার পাওয়ার যোগ্য হয়ে উঠেছেন। সকলেই নাকি তাঁকে এই পুরস্কারের যোগ্য বলে মনে করেন। 

তবে শুক্রবার নোবেল মিস হওয়ার ঘটনা ট্রাম্পকে আঘাত দিয়েছে বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। এমনকী, পাকিস্তানের জন্যও বিষয়টি কূটনৈতিক ধাক্কা কারণ তারা আনুষ্ঠানিক ভাবে ট্রাম্পকে মনোনীত করেছিলেন এবং 'চ্যাম্পিয়ন অফ পিস' তকমা দিয়েছিল।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement