কিছুদিনের জন্য শুল্ক চাপানোর নির্দেশিকা থেকে মনোযোগ ঘুরিয়েছিলেন, ফের হুঁশিয়ারি শুরু করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জানালেন, ৯ জুলাই পর্যন্ত ট্যারিফ স্থগিত রাখার যে ডেডলাইন তিনি দিয়েছেন, তা বদল হতেই পারে। তবে তিনি যা চাইবেন, তা-ই করতে পারেন।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে হোয়াইট হাউস থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, 'আমরা যা খুশি তা-ই করতে পারি। আবার ডেডলাইন বাড়াতে পারি। অথবা কমিয়েও দিতে পারি। আমার তো সময়সীমা কমিয়ে দেওয়ারই ইচ্ছে রয়েছে।' ট্রাম্পের সংযোগ, 'আমার তো ইচ্ছে রয়েছে সকলকে একটা করে চিঠি পাঠাব। তাতে লেখা থাকবে, অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আপনাদের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হল।'
গত সপ্তাহব্যাপী ইরানের পরমাণু কেন্দ্রগুলোর উপর আমেরিকার হামলা এবং মার্কিন কংগ্রেসে কর এবং ব্যয় সংক্রান্ত প্যাকেজ নিয়ে তীব্র বিতর্কের পর ট্রাম্প প্রশাসন তাদের বাণিজ্য কার্যক্রম আরও জোরদার করেছে। বৃহস্পতিবার আমেরিকা ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে একটি নতুন প্রস্তাব পেশ করেছে। একই সময়ে ভারত একটি প্রতিনিধিদল ওয়াশিংটনে পাঠিয়েছে বাণিজ্যিক বিষয় নিয়ে আলোচনা চালাতে।
বৃহস্পতিবারের শুরুতে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লিয়াভিট সাংবাদিকদের জানান, প্রশাসন ৮–৯ জুলাইয়ের শুল্ক নির্ধারণের সময়সীমা পরিবর্তন করতে পারে। বিষয়টিকে তিনি তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয় বলেই উল্লেখ করেছেন। লিয়াভিট জোর দিয়ে বলেন, 'প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রয়োজনে এই তারিখ পরিবর্তন করতে পারেন। যদি কোনও দেশ আলোচনায় না আসে, প্রেসিডেন্ট তাদের সামনে সরাসরি একটি চুক্তি পেশ করবেন। এতে আমেরিকার স্বার্থ এবং শ্রমিকদের পক্ষে উপযোগী পাল্টা শুল্ক আরোপও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।'
লিয়াভিটের এই মন্তব্যের পর বাজারে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। শেয়ারবাজার উর্ধ্বমুখী হয়ে ওঠে। কারণ বিনিয়োগকারীরা আশাবাদী হন, নমনীয় অবস্থান বাণিজ্যে বিঘ্ন এড়াতে পারে।
গত এপ্রিলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রায় সব বিদেশি আমদানির উপর প্রতিশোধমূলক শুল্ক ব্যবস্থা চালু করেন। তবে, যেসব শুল্ক ১০ শতাংশের বেশি ছিল সেগুলোর জন্য ৮ জুলাই পর্যন্ত ৯০ দিনের সময় দেওয়া হয়। যাতে দেশগুলো আলোচনার সময় পায়। মে মাসের শেষ দিকে ট্রাম্প তাঁর অবস্থানে বদল আনেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আমদানিকৃত পণ্যে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের হুমকি দেন।