ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বাণিজ্যিক আলোচনা সেরে ফেলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বৈঠক করেছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লিয়েনের সঙ্গে। তারপরই দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক চুক্তির ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’-এর প্রতিবেদন বলছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পণ্যের উপর ১৫ শতাংশ শুল্ক নেবে আমেরিকা। এদিকে, বর্তমানে স্টিল এবং অ্যালুমিনিয়ামের উপরে ৫০ শতাংশ হারে শুল্ক নেয় আমেরিকা। সেটিতে আপাতত কোনও বদল হচ্ছে না। বর্তমানে আমেরিকার বাজারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সব পণ্যের উপরেই রয়েছে ন্যূনতম ১০ শতাংশ শুল্ক। গাড়ির উপরে নেওয়া হয় ২৫ শতাংশ শুল্ক।
১ অগস্ট থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সব পণ্যের উপর ৩০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। ফলে এই বাণিজ্যিক বোঝাপড়া না হলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ঘাড়েও বোঝা চেপে যেত।
এদিকে, ট্রাম্পের দাবি, নতুন বাণিজ্যচুক্তিতে আমেরিকার পণ্যের উপর কোনও শুল্ক নেবে না ইউরোপীয় ইউনিয়ন। যদিও এ বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
আমেরিকার অন্যতম 'বন্ধুরাষ্ট্র' ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তবে ট্রাম্পের নয়া শুল্কনীতিতে কোপ পড়েছিল তাদের উপরেও। দফায় দফায় আলোচনার পরে অবশেষে দু'দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক রফাসূত্র বের হল।
ট্রাম্পের দাবি, আমেরিকা থেকে ৭৫ হাজার কোটি ডলারের বৈদ্যুতিক পণ্য কিনতে রাজি ইউরোপীয় ইউনিয়ন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর দ্বিতীয় টার্মের এটি অন্যতম বড় বাণিজ্যচুক্তি বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তিনি বলেন, 'আমি মনে করি এটি উভয় পক্ষের জন্যই খুব ভাল হবে। আমার মনে হয় আপনাদের দেশগুলিও এতে খুবই খুশি।'