ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০ জানুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নেবেন। মিডিয়া রিপোর্ট বলছে যে তিনি বেজিংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পরে চিন সফর করতে চান। ভারত সফর নিয়েও তিনি উপদেষ্টাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। ট্রাম্প তাঁর নির্বাচনী প্রচারের সময় চিনা আমদানির ওপর নতুন শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন। তিনি এছাড়াও তিনি বেজিংকে রাসায়নিক উৎপাদকদের দমন করতে বলেছেন, যেগুলি মেক্সিকান কার্টেলগুলি ফেন্টানাইল (এক ধরনের ড্রাগ) তৈরির মূল উপাদান হিসাবে ব্যবহার করে। আমেরিকার শীর্ষস্থানীয় আর্থিক পত্রিকা ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এক প্রতিবেদনে বলেছে, 'ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর উপদেষ্টাদের বলেছেন যে তিনি ক্ষমতায় আসার পর চিন সফর করতে চান। ট্রাম্প তাXর দ্বিতীয় মেয়াদে চিনের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতির চেষ্টা করছেন।'
ট্রাম্পও ভারত সফরের পরিকল্পনা করছেন
পত্রিকাটি তাঁর প্রতিবেদনে আরও বলেছে, 'ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের মতে, তিনি তাঁর উপদেষ্টাদের সঙ্গেও ভারত সফরের বিষয়ে কথা বলেছেন। পরিচিত সূত্রের মতে, গত মাসে ক্রিসমাসের কাছাকাছি সময়ে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ওয়াশিংটন ডিসি সফরে গেলে প্রাথমিক স্তরের আলোচনা শুরু হয়।' ভারত অস্ট্রেলিয়া, জাপান এবং আমেরিকা কোয়াড শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করতে প্রস্তুত।
ট্রাম্প এবং প্রধানমন্ত্রী মোদীর মধ্যে দেখা হতে পারে
ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত সফর এপ্রিলের শুরুতে বা এই বছরের শেষের দিকে হতে পারে। এমনও সম্ভাবনা রয়েছে যে ট্রাম্প চলতি বছরের মার্চ থেকে জুনের মধ্যে হোয়াইট হাউস বৈঠকের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানাতে পারেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। একদিন আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চিনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হান ঝেং যাবেন।
শি জিনপিং ও ট্রাম্প ফোনে কথা বলেছেন প্রথমবারের মতো
মার্কিন প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন চিনের কোনও সিনিয়র কর্মকর্তা। ট্রাম্প তাঁর শপথ অনুষ্ঠানে শি জিনপিংকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তবে চিনা প্রেসিডেন্ট কখনই কোনও বিদেশি নেতাদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন না। ডোনাল্ড ট্রাম্প 'ট্রুথ সোশ্যাল'-এ একটি পোস্টে লিখেছেন, 'আমি এইমাত্র চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা বাণিজ্য, ফেন্টানাইল, টিকটক এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। এটা আমার প্রত্যাশা যে আমরা একসঙ্গে অনেক সমস্যার সমাধান করব এবং সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ নেব।' ট্রাম্প আরও লিখেছেন, 'প্রেসিডেন্ট শি এবং আমি বিশ্বকে আরও শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করব।' ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, বেজিংয়ে ট্রাম্প ও জিনপিংয়ের সম্ভাব্য বৈঠক বিশ্বের দুই প্রধান শক্তিধর দেশের সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।