Advertisement

Elon Musk New Party: ২০২৮-এর আমেরিকান প্রেসিডেন্ট পদে লড়বেন ইলন মাস্ক? যা বলছে মার্কিন সংবিধান

আমেরিকায় নয়া দল গড়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কড়া চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন ইলন মাস্ক। তাঁর দাবি, আমেরিকার দুই রাজনৈতিক দলে অতিষ্ট নাগরিকদের কাছে এই নয়া পার্টি একটি প্রয়োজনীয় বিকল্প প্ল্যাটফর্ম।  সাধারণ মানুষের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্যই তিনি এই দল তৈরি করেছেন বলে জানান মাস্ক। ২০২৮ নির্বাচনে লড়তে পারবে 'দ্য আমেরিকা পার্টি'?

Aajtak Bangla
  • ওয়াশিংটন ,
  • 06 Jul 2025,
  • अपडेटेड 2:24 PM IST
  • নয়া দল গড়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কড়া চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন ইলন মাস্ক
  • সাধারণ মানুষের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্যই তিনি এই দল তৈরি করেছেন বলে জানান
  • ২০২৮ নির্বাচনে লড়তে পারবে 'দ্য আমেরিকা পার্টি'?

একদিকে যখন ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁকে দেশ থেকে তাড়ানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, অন্যদিকে তখন নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণা করে একদা পরম বন্ধু মার্কিন প্রেসিডেন্টকেই কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছেন ইলন মাস্ক। 'দ্য আমেরিকা পার্টি' নামে নয়া দলের ঘোষণা করেছেন টেসলা কর্তা। তাঁর দাবি, আমেরিকার দুই রাজনৈতিক দলে অতিষ্ট নাগরিকদের কাছে এই নয়া পার্টি একটি প্রয়োজনীয় বিকল্প প্ল্যাটফর্ম। সাধারণ মানুষের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্যই তিনি এই দল তৈরি করেছেন বলে জানান মাস্ক।

অনুমান করা হচ্ছে, ২০২৮ সালে মিড টার্ম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াতে পারেন ইলন মাস্ক। মিড টার্ম ইলেকশনে তিনি লড়বেন কি? সোশ্যাল মিডিয়ায় ধেয়ে আসা নেটিজেনদের এই প্রশ্ন উত্তরে মাস্ক বলেন, 'আগামী বছর ভোটে লড়ব।'

আগামী মিড টার্ম প্রেসিডেন্সিয়াল ভোটে তাঁর 'দ্য আমেরিকা পার্টি' গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদী ইলন মাস্ক। প্রাথমিক ভাবে এই দল কংগ্রেস এবং সেনেটের কয়েকটি আসনে প্রার্থী দেবে।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে কী বলছে আমেরিকার সংবিধান?

আমেরিকার সংবিধানের অনুচ্ছেদ-২, খণ্ড-১ অনুসারে, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট সেই হতে পারে যাঁর জন্ম আমেরিকাতেই হয়েছে। আমেরিকার নাগরিক নয়, সেখানে জন্মায়নি এমন কেউ প্রেসিডেন্ট পদে লড়তে পারবেন না। সেক্ষেত্রে ইলন মাস্ক মার্কিন নন, সাউথ আফ্রিকার নাগরিক। তিনি বলেন, 'আমার দিদা আমেরিকান। আমার জন্ম সাউথ আফ্রিকায় হয়েছে। ফলে আমি প্রেসিডেন্ট হতে পারব না।'

ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক

২০২৪ সালে আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মাস্ক ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের লক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। একাধিক ব়্যালিতে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। ডোনেশন দিয়েও সাহায্য করেছিলেন মাস্ক। জয়ের পর মাস্ককেও রিটার্ন গিফট দিয়েছিলেন ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সির দায়িত্ব সঁপেছিলেন তাঁর উপর। তবে এখন সম্পর্কে ছেদ পড়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিযান

এক্স হ্যান্ডলে ইলন মাস্ক একটি পোল করেছিলেন। তিনি নেটিজেনদের জিজ্ঞাসা করেছিলেন, আমেরিকার মানুষ কি দুই রাজনৈতিক দল থেকে মুক্তি চাইছেন? পোলে অংশ নিয়েছিলেন ১২ লক্ষ মানুষ। দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ নয়া রাজনৈতিক দলের পক্ষে রায় দেন। জবাব মাস্ক নয়া পার্টির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

Advertisement

আনুষ্ঠানিক ভাবে নিজের পার্টিকে রেজিস্টার করিয়েছেন কি না, তা এখনও জানানি ইলন মাস্ক। আমেরিকার ফেডারেল নির্বাচনে কমিশনেও কোথাও এই পার্টির রেজিস্ট্রেশনের কোনও হদিশ মেলেনি।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement