জাপান থেকে গলাধাক্কা খেয়ে দেশের মাটিতে ফিরল পাকিস্তানের 'ফুটবল টিম'। বাইশ জন 'খেলোয়াড়' সহ দলটি পৌঁছে যায় জাপানে। তাদের প্রত্যেকের পরনে ছিল ফুটবলারের পোশাক। তবে শেষরক্ষা হয়নি। জাপান প্রশাসন বুঝতে পারে, এরা সবাই ভুয়ো। তখনই তাদের গ্রেফতার করা হয়। পরে পাকিস্তানে ফেরত পাঠানো হয়। সেই ভুয়ো টিমকে সতর্কও করে দেওয়া হয় জাপানের তরফে।
সূত্রের খবর, এই ফুটবল দলের আড়ালে জাপানে মানব পাচারের চেষ্টা হচ্ছিল। অভিযুক্তরা পাকিস্তানের শিয়ালকোটের একটি ফুটবল টিম সেজে রওনা দেয় জাপানে। কিন্তু জাপানের স্থানীয় প্রশাসন তাদের পর্দাফাঁস করা দেয়। জিও নিউজ জানিয়েছে, কীভাবে ওই ব্যক্তিরা পাকিস্তানের বিমানবন্দর বিনা বাধায় জাপানে গেল সেটা পরিষ্কার নয়।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, এই চক্রটি শিয়ালকোটের পাসরুরের বাসিন্দা মালিক ওয়াকাসের সঙ্গে সম্পর্কিত। ওই ব্যক্তি গোল্ডেন ফুটবল ট্রায়াল নামে একটি ভুয়ো ফুটবল ক্লাব চালু করেছিলেন। জাপানে পাঠানোর জন্য এক এক জনের কাছ থেকে ৪ মিলিয়ন টাকা নিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ। গত ১৫ সেপ্টেম্বর গুজরানওয়ালায় তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়।
পাকিস্তান প্রশাসনের দাবি, এই পদ্ধতিতে মানব পাচারের চেষ্টা প্রথম হয়েছিল এমনটা নয়। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতেও একই রকমভাবে জাল নথি ব্যবহার করে ১৭ জনকে জাপানে পাঠিয়েছিলেন মালিক ওয়াকাস। তাদের কেউ আর সেই দেশ থেকে ফেরত আসেনি।
প্রসঙ্গত, এশিয়া কাপে এমনিতেই মুখ পুড়েছে পাকিস্তানের। ভারতীয় দলের খেলোয়াড়রা সলমান আগাদের টিমের সদস্যদের সঙ্গে করমর্দন না করায় তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেছে প্রতিবেশী দেশ। দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েন ক্রিকেট মাঠের বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছে। এই আবহে ফের অপদস্থ হতে হল পাকিস্তানকে। তাও আবার জাপানে।