গাজায় যাওয়ার পথে হঠাতই 'ত্রাণবাহী' জাহাজ আটক করল ইজরায়েলের নৌবাহিনী। আর সেই জাহাজ থেকেই ধরা পড়লেন পাকিস্তানের প্রাক্তন সিনেটর মুশতাক আহমেদ খান। হামাসের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা রয়েছে, এমনই দাবি আন্তর্জাতিক মহলের। এই মুশতাক আহমেদ খান পাকিস্তানে বেশ পরিচিত রাজনীতিবিদ। জামায়াত-ই-ইসলামির সদস্য। ২০১৮ সালের মার্চ থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত খাইবার পাখতুনখোয়ার প্রতিনিধি হিসাবে পাকিস্তানের সিনেটের সদস্য ছিলেন। পাকিস্তানেও এর আগে প্যালেস্তাইনপন্থী আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন মুশতাক আহমেদ খান।
আন্তর্জাতিক জলে ইজরায়েলের অভিযান
রবিবার ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ নামের এক ত্রাণবাহী নৌবহরকে আটকায় ইজরায়েলের নৌসেনা। এই ফ্লোটিলা বা নৌবহরে ৩৭টি দেশের মানুষ যোগ দিয়েছিলেন। সেই নৌবহর থেকে প্রায় ২০০ জন যাত্রীকে আটক করে ইজরায়েলের নৌবাহিনী। আর সেই ধৃতদের তালিকাতেই ছিলেন পাকিস্তানের রাজনীতিবিদ মুশতাক আহমেদ খান।
হামাস যোগের অভিযোগ
ইজরায়েলের অভিযোগ, পাকিস্তানের প্রাক্তন সিনেটরের সঙ্গে হামাসের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। ইজরায়েলের দাবি, মানবিক সহায়তার নামে এই মিশনের আড়ালে হামাসের জন্য রাজনৈতিক প্রচার চালানো হচ্ছিল। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে ত্রাণ সংগঠনের সঙ্গে যুক্তরা। এরপর সিনেটরকে নিয়ে ইজরায়েল ও পাকিস্তান কোন পথে এগোয়, এখন সেটাই দেখার।