সরকারের খরচ বাড়ছে। তাই বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পে রাশ। কিন্তু উচ্চ আয়ের ব্যক্তিদের থেকে বেশি কর নেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই। গত সরকারের বাজেট প্রস্তাবনার বিরুদ্ধে ক্ষোভের আবহ ফ্রান্সজুড়ে। বৃহস্পতিবার প্রতিবাদে রাস্তায় নামলেন হাজার হাজার শ্রমিক, বৃদ্ধ ও পড়ুয়ারা। দেশজুড়ে প্রায় ২০০টিরও বেশি শহরে চলল হরতাল, ধর্মঘট, আন্দোলন। তাঁদের দাবি, নতুন সরকার এসেছে। এবার আগের সরকারের বাজেট প্রস্তাবনা সম্পূর্ণ বাতিল করা হোক। বৃহস্পতিবার আন্দোলনের মাত্রা এতটাই ছিল যে, প্যারিসের বিখ্যাত আইফেল টাওয়ারও সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
২০০ রও বেশি শহরে বিক্ষোভ
ফ্রান্সের ২০০ টিরও বেশি শহরে রাস্তায় নামেন আন্দোলনকারীরা। প্যারিসে বিক্ষোভকারীরা প্লেস ডি'ইতালি থেকে একটি মিছিল বের করে। পরিস্থিতি অশান্ত হওয়ার আশঙ্ককায় সাময়িকভাবে আইফেল টাওয়ার বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফিরিয়ে দেওয়া হয় পর্যটকদের।
বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে আন্দোলন
ফ্রান্সের বিভিন্ন ইউনিয়ন দেশব্যাপী ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। গত মাস থেকেই রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং বাজেট নিয়ে বিতর্ক বাড়তে শুরু করে। বৃহস্পতিবার সেই আন্দোলন চরম মাত্রায় পৌঁছায়। ইউনিয়নগুলির দাবি, সরকারের উচিত আগের প্রধানমন্ত্রীর বাজেট প্রস্তাবনা বাতিল করে দেওয়া। উক্ত বাজেট প্রস্তাবনায় সমাজকল্যাণ কর্মসূচির উপর রাশ টানার সুপারিশ করা হয়েছিল। শ্রমিক, অবসরপ্রাপ্ত ও ছাত্রকল্যাণ সমিতিগুলির দাবি, এই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হলে নিম্ন এবং মধ্য আয়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা আরও কমবে। ধনী ব্যক্তিদের থেকে আরও বেশি কর নেওয়ার মাধ্যমে সামাজিক প্রকল্পগুলির ফান্ডিং চালিয়ে যাওয়ার দাবি করছে সংগঠনগুলি।
নতুন সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি
গত মাসে সদ্য প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন সেবাস্তিয়ান লেকর্নু। এখনও তার বাজেটের বিস্তারিত বিবরণ দেননি। মন্ত্রিসভাও ঘোষণা করেননি। তবে শীঘ্রই সরকার গঠন হতে চলেছে। আর তারপরেই সংসদে এর আগের সরকারের বাজেট প্রস্তাবনা নিয়ে ডিবেট হবে বলে জানা গিয়েছে। সেই সময়ে আগের সরকারের প্রস্তাবনা বাতিল করা নিয়ে যে নতুন সরকারের উপর বেশ চাপ থাকবে, তা বলাই বাহুল্য।