Advertisement

Nepal Gen Z Revolution: নেপালে হঠাত্‍ Gen Z বিপ্লব, কাঠমাণ্ডুতে কার্ফু, নামল সেনা, সরকার টলমল?

নেপাল সরকার ফেসবুক, এক্স হ্যান্ডেল (সাবেক ট্যুইটার) ইউটিউব সহ ২৬টি সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এই সিদ্ধান্তেই তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে Gen Z মেয়েদের মধ্যে। নেপালের রাস্তায় শুরু হয়েছে এক অভূতপূর্ব তরুণ-বিদ্রোহ, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘Gen Z Revolution’।

নেপালে Gen Z বিপ্লবনেপালে Gen Z বিপ্লব
Aajtak Bangla
  • কাঠমাণ্ডু,
  • 08 Sep 2025,
  • अपडेटेड 2:56 PM IST
  • ঠিক কী চলছে নেপালে?
  • সংসদ ভবনের প্রাচীর পর্যন্ত ভেঙে ঢুকে যায় কিছু বিক্ষোভকারী
  • সিদ্ধান্তে অনড় কেপি শর্মা ওলি

শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশের পর এবার ভারতের আরেক প্রতিবেশী দেশ উত্তপ্ত। পরিস্থিতি এতটাই অশান্তি যে,কার্ফু জারি করতে হয়েছে। গোটা বিশ্বে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে নেপালের বিক্ষোভ। রাজধানী কাঠমাণ্ডুতে জারি করা হল কার্ফু। Gen Z ছেলেমেয়েরা রাস্তায় নেমে পড়েছে। নেপালের সংসদেও ঢুকে পড়েছে তারা। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান ছুড়ছে। কিন্তু তাতেও দমানো যাচ্ছে না বিক্ষোভ। পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে, সরকার পড়ে যাবে নাকি? ইতিমধ্যেই জরুরিকালীন বৈঠক শুরু করে দিয়েছে নেপাল সরকার। কাঠমাণ্ডুতে নামানো হল সেনা।

বিক্ষোভের মূল কারণ হল, সোশ্যাল মিডিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা। এবং এই প্রথমবার Gen Z ছেলেমেয়েরা রাস্তায় নেমে সরকারকে চ্যালেঞ্জ করলেন। নেপালে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম সহ সব সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধ হওয়ার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন Gen Z ছেলেমেয়ারে। যার জেরে কাঠমাণ্ডুতে কার্ফু। 

নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি সরকারের বিরুদ্ধে শুরু হয়ে গিয়েছে Gen Z বিপ্লব। বিক্ষোভকারীরা ঢুকে পড়েছেন সংসদ ভবনে। তাঁদের প্রতিবাদ হল, সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধ  ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি সামলাতে কিছু ঘণ্টার জন্য ইন্টারনেট ও মোবাইল পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে। 

প্রবল বিক্ষোভ কাঠমাণ্ডুর রাস্তায়

ঠিক কী চলছে নেপালে?

নেপাল সরকার ফেসবুক, এক্স হ্যান্ডেল (সাবেক ট্যুইটার) ইউটিউব সহ ২৬টি সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এই সিদ্ধান্তেই তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে Gen Z মেয়েদের মধ্যে। নেপালের রাস্তায় শুরু হয়েছে এক অভূতপূর্ব তরুণ-বিদ্রোহ, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘Gen Z Revolution’। সরকারের সিদ্ধান্তে ৪ সেপ্টেম্বর ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব-সহ ২৬টি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম বন্ধ হয়ে যায়। কারণ হিসেবে বলা হয়, সংস্থাগুলি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রকের কাছে নিবন্ধন করেনি। কিন্তু আন্দোলনকারীদের চোখে এটি নিছক সেন্সরশিপ, সমালোচনাকে দমন করার ফন্দি।

কাঠমাণ্ডুর রাস্তায় এক বিক্ষোভকারী

সংসদ ভবনের প্রাচীর পর্যন্ত ভেঙে ঢুকে যায় কিছু বিক্ষোভকারী

ফোন ও ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট সত্ত্বেও জেন জেড প্রজন্ম বিকল্প প্ল্যাটফর্মে, TikTok ও রেডিটের মতো জায়গায়, সংগঠিত হয়ে নেমে আসে রাস্তায়। মাইতিঘর মণ্ডল থেকে সংসদের দিকে বিশাল মিছিল গড়ায়। পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙতে গিয়ে ছড়ায় উত্তেজনা, টিয়ার গ্যাস, জলকামান, পাল্টা লাঠি ও ইটবৃষ্টি, সব মিশে যায় বিশৃঙ্খলার আবহে। সংসদ ভবনের প্রাচীর পর্যন্ত ভেঙে ঢুকে যায় কিছু বিক্ষোভকারী।

Advertisement
কাঠমাণ্ডুর রাস্তায় কার্ফু

রাজধানীর আকাশে কাঁদানে গ্যাসের ধোঁয়া ভেসে ওঠে, আর স্লোগানে মুখরিত হয় হাজার হাজার তরুণ। বিশ্লেষকরা বলছেন, দীর্ঘদিনের দুর্নীতি, বৈষম্য আর হতাশা থেকেই জন্ম নিয়েছে এই আন্দোলন, আর সোশ্যাল মিডিয়া নিষেধাজ্ঞা ছিল কেবল শেষ স্ফুলিঙ্গ।

সিদ্ধান্তে অনড় কেপি শর্মা ওলি

এদিকে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি নিষেধাজ্ঞার পক্ষে দাঁড়িয়ে বলেন, জাতীয় স্বার্থ, স্বাধীনতা ও মর্যাদার সঙ্গে কোনও আপোস করা চলবে না। কয়েকজনের চাকরি হারানোর চেয়ে দেশের সার্বভৌমত্ব অনেক বড়। তিনি জানান, আইন অমান্য করে কেউ দেশকে দুর্বল করার চেষ্টা করলে, সরকার কখনও তা সহ্য করবে না।

কাঠমাণ্ডুর রাস্তায় সেনা

Gen Z কাদের বলা হয়?

Gen Z বর্তমান তরুণ প্রজন্ম। মোটামুটি ৯০-এর দশকের শেষের দিক থেকে ২০১০ সালের মধ্যে যাঁদের জন্ম হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে অবশ্য ১৯৯৭ সাল থেকে ২০১২ সালের মধ্যে জন্মেছেন যাঁরা, তাঁদের Gen Z বলা হয়। তার আগে ১৯৮১ সাল থেকে ১৯৮৬ পর্যন্ত সময়কালে যাঁরা জন্মেছেন, তাঁদের Gen Y  বলা হয়। 

Read more!
Advertisement
Advertisement