পাকিস্তানের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি তথা লস্কর-ই-তইবার প্রতিষ্ঠানা হাফিজ সইদের গোপন ডেরার সন্ধান মিলল। মুম্বই হামলার মাস্টার মাইন্ড হাফিজের লাহোরে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে প্রকাশ, স্যাটেলাইট ছবি এবং ভিডিও থেকে নিশ্চিত করা গিয়েছে, হাফিজ সইদ আস্তানা গেড়েছে লাহোরের জুরাম তুমে। সামনে আসা থেকে ছবি থেকে হাফিজের বাড়ি স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। জানা যায়, হাফিজ এখন আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করে। তার জীবন-যাপন আর পাঁচজনের মতোই। পাকিস্তান প্রশাসনের তরফে তাকে নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। এই জঙ্গির জন্য পাক সরকার ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা রেখেছে। একই সঙ্গে ব্যক্তিগত রক্ষীও রয়েছে হাফিজের। তাদের ২৪ ঘণ্টা সঙ্গে রাখে সে।
ইন্ডিয়া টুডে যে স্যাটেলাইট ছবি অ্যাক্সেস করেছে সেই অনুযায়ী তিনটি সম্পত্তি দেখা যাচ্ছে। একটি হাফিজের বাসভবন, আর একটি বিশাল বিল্ডিং। যেটি মসজিদ বলে মনে করা হচ্ছে। আর তৃতীয়টি হল একটি পার্ক। এটি ব্যক্তিগত বলে খবর।
প্রতিবেদনে প্রকাশ, হাফিজ সইদ লাহোরে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে একটি বড় বাড়িতে থাকে। বাড়ির সামনে একটি পার্ক রয়েছে। একই কমপ্লেক্সের দুই নম্বর ভবনে একটি মসজিদ এবং মাদ্রাসা রয়েছে। এর ঠিক নিচে একটি বাঙ্কার তৈরি করা হয়েছে। তার নিরাপত্তারক্ষীরা এখানে থাকে। হাফিজ এখান থেকে কাজ করে, নিজের নেটওয়ার্ক চালায়।
সামনে আসা ভিডিও থেকে স্পষ্ট যে সইদকে পাকিস্তানের সরকারের গ্রেফতার করা উচিত, সেই তাকেই নিরাপত্তা দিয়ে বহাল তবিয়তে রেখেছে পাক সেনা ও প্রশাসন।
লস্কর-ই-তৈইবার প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সইদ ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী। রাষ্ট্রসংঘের তালিকায় সে মোস্ট ওয়ান্টেড। লস্করের সদর দফতর পাকিস্তানের পঞ্জাবের মুরিদকেতে অবস্থিত। জল্পনা শুরু হয়েছে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপে সেই দফতরে হামলা চালাতে পারে ভারত।
মুম্বই হামলার পর ভারত দাবি করে, হাফিজই দায়ি। যদিও লস্করের নেতা হওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছিল হাফিজ। ভারতে হামলার অভিযোগও অস্বীকার করেছিল সে।
কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদীদের মদত দেয় হাফিজ। গত মাসে তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী আবু কাতাল নিহত হওয়ার পর পাকিস্তান সরকার হাফিজের নিরাপত্তা জোরদার করেছিল। আইএসআইও তার নিরাপত্তা পর্যালোচনা করেছিল।