Advertisement

Gaza Peace Plan: ট্রাম্পের একটি শর্তে আপত্তি, চুক্তি সইয়ে নারাজ হামাস, ভেস্তে গেল গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠা?

গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করার সম্পূর্ণ কৃতিত্ব নেওয়ার মরিয়া চেষ্টা করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু তাঁর একটি শর্তে নারাজ হামাস। ফলে গাজা শান্তি চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে রাজি হচ্ছে না এই জঙ্গি গোষ্ঠী।

গাজা শান্তি পরিকল্পনার প্রথম পর্যায়ে সম্মত ইজরায়েল ও হামাস, এবার ঠিক কী হবে?গাজা শান্তি পরিকল্পনার প্রথম পর্যায়ে সম্মত ইজরায়েল ও হামাস, এবার ঠিক কী হবে?
Aajtak Bangla
  • গাজা ,
  • 12 Oct 2025,
  • अपडेटेड 9:57 AM IST
  • ট্রাম্পের শর্তে রাজি নয় হামাস
  • শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করতে আপত্তি
  • ভেস্তে যাবে গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠা?

গাজা শান্তি চুক্তির আনুষ্ঠিক স্বাক্ষর হওয়ার কথা ছিল ইজিপ্টে। তবে সেই প্রক্রিয়ায় অংশ নেবে না বলে সাফ জানিয়ে দিল হামাস জঙ্গি গোষ্ঠী। সংবাদসংস্থা এএফপি-কে হামাসের এক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা শান্তি চুক্তির কয়েকটি অংশে আপত্তি রয়েছে তাদের। ফলে চুক্তি স্বাক্ষরে নারাজ তারা। অর্থাৎ নতুন করে গাজা শান্তি চুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হল। 

টাইমস অফ ইজরায়েলের রিপোর্ট অনুযায়ী, ট্রাম্পের দেওয়া প্রস্তাব অনুযায়ী, গাজা স্ট্রিপ এলাকা থেকে চলে যেতে হত হামাস নেতাদের। এই বিষয়টি মানতে নারাজ হামাস। এই জঙ্গি গোষ্ঠীর রাজনৈতিক সদস্য হোসাম বাদরান সাংবাদিকদের বলেন, 'হামাসের সদস্য হোক বা হোক, প্যালেস্তাইনের বাসিন্দাদের নিজেদের ভূমি থেকে উৎখাত করা ভিত্তিহীন, ননসেন্স।' গাজা শান্তি চুক্তির দ্বিতীয় দফার আলোচনা জটিল হতে চলেছে বলেও উল্লেখ করেন ওই নেতা। 

আগামী দু'দিনের মধ্যে মধ্য প্রাচ্য সফরে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার আগেই হামাসের এই শর্ত ঘিরে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। ট্রাম্পের সফরের মধ্যেই গাজা থেকে সমস্ত ইজরায়েলি যুদ্ধবন্দিদের মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে হামাসের। গত ২ বছর ধরে তারা বন্দি রয়েছে। তবে এক শীর্ষ হামাস নেতা ইঙ্গিত দিয়েছেন, রাজনৈতিক জটিলতা রয়েই যাচ্ছে। অস্ত্র ছেড়ে দেওয়ার শর্ত হামাসের পক্ষে মেনে নেওয়ার প্রশ্নই উঠছে না। যদিও বা হামাস গাজা প্রশাসন থেকে সরে দাঁড়ায়, অস্ত্র ছেড়ে দেশ থেকে বেরিয়ে যাওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয় বলেই জানিয়েছেন ওই নেতা। 

এদিকে, ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু প্রথম থেকেই জানিয়ে রেখেছেন, হামাস কোনওরকম গন্ডোগোল করলেই তাঁর দেশ উপযুক্ত জবাব দেবে, চুপ করে বসে থাকবে না। গত শুক্রবারই ট্রাম্প প্রস্তাবিত গাজা শান্তি চুক্তির প্রথম ধাপ কার্যকর হয়েছিল। গৃহহীনরা ধীরে ধীরে গাজায় নিজেদের ঘরে ফেরা শুরু করেছিল। শনিবার হাজার হাজার প্যালেস্তাইনবাসীকে দেখা গিয়েছে গাজা উপকূলে ঘরে ফিরতে। কেউ হেঁটে, কেউ বা গাড়িতে দেশে ফেরার আনন্দে আত্মহারা হয়েছে। যদিও যুদ্ধবিরতি দীর্ঘস্থায়ী হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েই গিয়েছে তাদের মনে। 

Advertisement

শান্তি চুক্তির প্রথম ধাপের শর্ত অনুযায়ী, সোমবারের মধ্যেই হামাস ৪৭ জন ইজরায়েলি যুদ্ধবন্দিকে মুক্তি দেবে বলে কথা রয়েছে। বদলে ২৫০ জন প্যালেস্তাইন কয়েদিকেও ছাড়বে ইজরায়েল। ১৭০০ গাজাবাসী, যারা যুদ্ধের জেরে গৃহহীন, তাদেরও ফেরানোর কথা রয়েছে। এদিকে, ধীরে ধীরে গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করাও শুরু করেছে ইজরায়েল। ৭ অক্টোবর, ২০২৩ সালে এই যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গোটা বন্দি বিনিময় প্রক্রিয়ায় সহায়তা করবে মার্কিন সেনা। কাতার, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী এবং ইজিপ্ট প্রশাসনও এ বিষয়ে মধ্যস্থতা করছে। তবে মার্কিন সেনা কোনওমতেই গাজা ভূখণ্ডে প্রবেশ করবে না।

হামাস নেতৃত্বাধীন প্যালেস্তাইন সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ইজরায়েল এখনও পর্যবন্ত ৬৭ হাজার ৬৮২ জন মানুষকে হত্যা করেছে। তার মধ্যে ২০২৩ সালের যুদ্ধের পর থেকে ১ হাজার ২১৯ জন নাগরিকেরই মৃত্যু হয়েছে ইজরায়েলি সেনার হাতে। 
 

 

Read more!
Advertisement
Advertisement