নতুন বছরের শুরুতে ফের ভাইরাস-আতঙ্ক। আবারও ঘটনাস্থল সেই চিন। ড্রাগনের দেশে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এক ভাইরাস। যার নাম হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বা HMPV। ২০১৯ সালের শেষে চিনে ছড়িয়েছিল করোনাভাইরাস। পরে যে মারণভাইরাস গোটা বিশ্বে থাবা বসিয়েছিল। কোভিডের সেই ভয়াবহ স্মৃতি ফিকে হতেই এবার নতুন করে আতঙ্ক ছড়াল এইচএমপিভি। কোভিড আর HMPV কি একই রকম ভাইরাস?
জানা গিয়েছে, চিনের উত্তর দিকের প্রদেশগুলিতে এই ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে। আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই ১৪ বছরের কম বয়সীরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা গিয়েছে, চিনের বিভিন্ন হাসপাতালে উপচে পড়া ভিড়। জনমানসে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। দাবি করা হয়েছে, চিনে জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে এই ভাইরাসকে ঘিরে। যদিও সরকারি ভাবে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
HMPV-কে প্রথম শনাক্ত করা হয় ২০০১ সালে। নিউমোভিরিডি-র অন্তর্গত এই ভাইরাস। রেসপিরেটরি সিনসিটিয়াল ভাইরাসের সঙ্গে সংযুক্ত এই ভাইরাস। ভাইরাসের ফলে সাধারণত কাশি, সর্দি, এবং গলা ব্যথার মতো হালকা উপসর্গ দেখা যায়। তবে যেসব শিশু, প্রাপ্তবয়স্কদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাঁদের শারীরিক পরিস্থিতি সঙ্কজনক হতে পারে। নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিসের মতো সমস্যা হতে পারে।
করোনাভাইরাস আর HMPV কি এক?
HMPV এবং সার্স কোভ ২ বা করোনাভাইরাস ভিন্ন ভাইরাল হলেও দুই ভাইরাসের মধ্যে অনেক মিল রয়েছে।
* দুই ভাইরাসই শ্বাসযন্ত্রে আঘাত হানে প্রথমে। মৃদু থেকে মারাত্মক সংক্রমণ হতে পারে।
* হাঁচি-কাশিতে ড্রপলেটের মাধ্যমে দুই ভাইরাস ছড়ায়।
* দুই ভাইরাসের উপসর্গও এক। জ্বর, কাশি, গলা ব্যথা, হাঁচি, শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ থাকে।
* দুই ভাইরাসই শিশু ও বয়স্কদের জন্য বিপজ্জনক।
* দুই ভাইরাস ঠেকাতেই মাস্ক পরা, হাত ধোওয়া, শারীরিক দূরত্বের মতো সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
* করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ভ্যাকসিন রয়েছে। তবে HMPV ঠেকাতে এখনও কোনও ভ্যাকসিন নেই।