Advertisement

Russia vs USA Nuclear Weapon: রাশিয়া ও আমেরিকার কাছে কতগুলো করে পরমাণু অস্ত্র আছে, যুদ্ধ হলে কে জিতবে?

Russia vs USA Nuclear Weapons: রাশিয়া ও আমেরিকার মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। বিশেষ করে ইউক্রেন যুদ্ধ এবং সাবমেরিন মোতায়েনের পর। উভয় দেশের কাছেই বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পরমাণু অস্ত্রের মজুত রয়েছে। যা যে কোনও সময় ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে পারে।

রাশিয়া ও আমেরিকার কাছে কত পরমাণু অস্ত্র আছে, যুদ্ধ হলে কে জিতবে?রাশিয়া ও আমেরিকার কাছে কত পরমাণু অস্ত্র আছে, যুদ্ধ হলে কে জিতবে?
Aajtak Bangla
  • নতুন দিল্লি,
  • 02 Aug 2025,
  • अपडेटेड 2:48 PM IST
  • রাশিয়ার কাছে প্রায় ৫,৫৮০টি পরমাণু অস্ত্র আছে
  • আমেরিকার হাতে প্রায় ৫,৪২৮টি পরমাণু অস্ত্র আছে

Russia vs USA Nuclear Weapons: রাশিয়া ও আমেরিকার মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। বিশেষ করে ইউক্রেন যুদ্ধ এবং সাবমেরিন মোতায়েনের পর। উভয় দেশের কাছেই বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পরমাণু অস্ত্রের মজুত রয়েছে। যা যে কোনও সময় ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে পারে। আসুন জেনে নেওয়া যাক তাদের অস্ত্র কী? পরমাণু যুদ্ধ হলে কে জিতবে?

রাশিয়া ও আমেরিকার কাছে কত অস্ত্র আছে?

রাশিয়া: প্রায় ৫,৫৮০টি পরমাণু অস্ত্র। এর মধ্যে ১৭১০টি মোতায়েন করা হয়েছে, যেমন মিসাইল, সাবমেরিন এবং বোমারু বিমান। বাকিগুলি রিজার্ভে রয়েছে বা ব্যবহারের অনুপযুক্ত।

আরও পড়ুন

আমেরিকা: প্রায় ৫,৪২৮টি পরমাণু অস্ত্র। এর মধ্যে ১৬৪৪টি মোতায়েন করা হয়েছে, যা মিসাইল এবং বোমা তৈরিতে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত। উভয় দেশের কাছে প্রায় সমান সংখ্যক অস্ত্র রয়েছে, তবে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত অস্ত্রের মধ্যে সামান্য পার্থক্য রয়েছে। রাশিয়ার মজুতের পরিমাণ কিছুটা বেশি, তবে আমেরিকা তার অস্ত্র আধুনিকীকরণে বেশি মনোযোগ দিয়েছে।

পরমাণু মিসাইল শক্তিতে কে এগিয়ে?

যে কোনও পারমাণবিক যুদ্ধের মেরুদণ্ড হল মিসাইল। দেখা যাক উভয়ের কাছে কী আছে...

রাশিয়া

RS-28 Sarmat (Satan-2): এটি একটি হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক মিসাইল, যা ১৮০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত আঘাত হানতে পারে। এর গতি ২৪,৫০০ কিমি/ঘণ্টা। এটি একসঙ্গে একাধিক স্থানে আক্রমণ করতে পারে।

RS-24 Yars: এটি ১২০০০ কিলোমিটার পাল্লার একটি মিসাইল, যা ২০০ কিলোটন বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে। রাশিয়ার ৬৩টি মোবাইল এবং ১০টি সাইলো লঞ্চার রয়েছে। রাশিয়ার মিসাইলগুলি দ্রুত এবং নির্ভুল, তবে তাদের প্রযুক্তি কিছুটা পুরনো হয়ে উঠছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

Minuteman III: এটি ১০,০০০ কিলোমিটার পাল্লার একটি মিসাইল, যা ২৮,২০০ কিমি/ঘণ্টা গতিতে যায়। এতে ৪৭৫ কিলোটন ওয়ারহেড স্থাপন করা যেতে পারে।

Sentinel ICBM: একটি নতুন প্রজন্মের মিসাইল, যা মহাকাশে এমনকি উপগ্রহ ধ্বংস করতে পারে। সম্প্রতি এর পরীক্ষা সফল হয়েছে। আমেরিকার মিসাইলগুলি আধুনিক এবং উন্নত প্রযুক্তিতে সজ্জিত, যা তাদের রাশিয়ার থেকে কিছুটা এগিয়ে রাখে। উভয় দেশের মিসাইলই একে অপরের দেশে সহজেই পৌঁছতে পারে, তবে আমেরিকার নতুন মিসাইল এবং নির্ভুলতা রাশিয়ার চেয়ে ভাল বলে মনে করা হয়।

Advertisement

বোমা: কোনটি সবচেয়ে বিপজ্জনক?

পরমাণু বোমার শক্তি মেগাটন (মিলিয়ন টন টিএনটি) দিয়ে পরিমাপ করা হয়। দেখা যাক উভয়ের কাছে কী আছে...

রাশিয়ার জার বোমা: এটি একটি ৫০ মেগাটন বোমা, যা হিরোশিমা বোমার (১৫ কিলোটন) চেয়ে ৩,৩০০ গুণ বেশি শক্তিশালী। এটি এখন ব্যবহার হয় না, তবে এখনও এর ভয় রয়েছে।

আমেরিকার বি-৪১: ২৫ মেগাটন হাইড্রোজেন বোমা, যা ১৯৬০-এর দশকে তৈরি হয়েছিল। এখন এটি মিসাইলে ব্যবহৃত হয়। রাশিয়ার জার বোমা প্রযুক্তিগতভাবে সবচেয়ে শক্তিশালী, তবে আমেরিকার কাছে ছোট কিন্তু নির্ভুল বোমার সংখ্যা বেশি।

পরমাণু যুদ্ধে কে জিতবে?

এখন প্রশ্ন হল, যদি এই দুটি দেশ পরমাণু যুদ্ধে লিপ্ত হয়, তাহলে কে জিতবে? উত্তরটি সহজ নয়, কারণ, উভয় দেশেই ধ্বংসলীলা চলবে। উভয় দেশের কাছে এত অস্ত্র রয়েছে যে তারা একে অপরকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করতে পারে। যদি সব অস্ত্র ব্যবহার করা হয়, তাহলে লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা যাবে। পৃথিবীর পরিবেশ বছরের পর বছর ধরে দূষিত থাকবে।

রাশিয়ার সুবিধা: রাশিয়ার কাছে অস্ত্রের মজুত একটু বেশি। এর মিসাইল দ্রুত আক্রমণ করতে পারে। যদি তারা প্রথমে আক্রমণ করে, তাহলে তারা শুরুতেই নেতৃত্ব দিতে পারে।

আমেরিকার সুবিধা: আমেরিকার প্রযুক্তি, উপগ্রহ এবং এয়ার ডিফেন্স রাশিয়ার চেয়ে ভাল। তাদের নতুন মিসাইল এবং সাবমেরিন রাশিয়ার জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে। এছাড়াও, ন্যাটো দেশগুলির সমর্থনও আমেরিকাকে শক্তিশালী করে। বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞ বিশ্বাস করেন যে পরমাণু যুদ্ধে কোনও জয় হবে না। উভয় দেশই এত ক্ষতির সম্মুখীন হবে যে বিজয়ীও পরাজয় মেনে নেবে।

সাবমেরিন: উভয়েরই পরমাণু সাবমেরিন রয়েছে, যা গোপনে আক্রমণ করতে পারে। আমেরিকার ওহিও ক্লাস এবং রাশিয়ার ইউরি ডলগোরুকি সাবমেরিন বিপজ্জনক।

কৌশল: প্রথম আক্রমণকারী কিছু সুবিধা পেতে পারে, কিন্তু দ্বিতীয় পাল্টা আক্রমণ সবকিছু ধ্বংস করে দেবে।

প্রাণহানি: অনুমান করা হচ্ছে যে প্রথম দিনেই ১০-২০ কোটি মানুষ মারা যেতে পারে। বাকিরা রোগ এবং অনাহারে আক্রান্ত হবে।

ভারতের জন্য এর অর্থ কী?

রাশিয়া থেকে তেল ও অস্ত্র কিনছে ভারত। আমেরিকা থেকে প্রযুক্তি। যদি এই যুদ্ধ হয়, তাহলে ভারতের অর্থনীতি এবং নিরাপত্তা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমাদের নিরপেক্ষ থাকার এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করতে হবে।

Read more!
Advertisement
Advertisement