আবেগপ্রবণ চিঠি আফগান রাষ্ট্রপতির
আমার সামনে কঠিন বিকল্প। আফগানিস্তান ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া রাষ্ট্রপতি আশরফ গণি লিখলেন। আবেগপূর্ণ চিঠি। পাশাপাশি কেন দেশ ছেড়ে চলে গেলেন বিপদের সময় তারও ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তিনি। সোস্যাল সাইটে এ তাঁর সাফাইয়ের প্রতিক্রিয়া অবশ্য দেশে কি হয়েছে, তা জানা যায়নি।
ওমান থেকে আমেরিকা যাওয়ার ছক
আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপতি আশরফ গণি আফগানিস্তানে তালিবানি দখলের পর দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন। তিনি ওমানে আমেরিকান বায়ুসেনা ঘাঁটিতে পৌঁছে গিয়েছেন। জানা গিয়েছে, তিনি এখান থেকে আমেরিকা যেতে পারেন।
কঠিন সিদ্ধান্ত বলছেন রাষ্ট্রপতি
দেশ ছাড়া নিয়ে এই জল্পনা এবং আলোচনার মাঝে মাঝেই আশরাফ গণি সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি আবেগপূর্ণ চিঠি পোস্ট করেছেন। তাঁর দেশ ছাড়ার কারণ-এর পিছনে সাফাই দিয়ে লম্বা চিঠি লেখেন তিনি। সেখানে তিনি লেখেন, আজকে আমার সামনে কঠিন বিকল্প রয়েছে। আমাকে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হল। তালিবানদের সামনে আমার দাঁড়িয়ে থাকা উচিত ছিল। আমি গত কুড়ি বছর থেকে নিজের জীবন, এখানকার মানুষকে বাঁচাতে নিয়োগ করেছি।
তালিবানরা আমাকে সরিয়ে দিয়েছে
আমি যদি দেশ না ছাড়তাম, তাহলে এখানকার মানুষের জন্য অত্যন্ত খারাপ হতো। তালিবান আমাকে সরিয়ে দিয়েছে। তাঁরা কাবুলে স্থানীয় মানুষদের ওপর হামলা করার জন্য এখানে এসেছে। তিনি আরও বলেন, তালিবান হিংসার লড়াই জিতে গিয়েছে। এখন তাঁদের দায়িত্ব আফগানিস্তানের লোকজনকে রক্ষা করা। খুনখারাবি থেকে বাঁচার জন্য আমার আফগানিস্তান থেকে চলে যাওয়াই ওই মুহূর্তে ঠিক মনে হয়েছে।
আফগানদের হিতের জন্য কাজ করবে তালিবানরা !
অন্যদিকে তালিবানের কমান্ডাররা জানিয়েছেন, তারা আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপতি প্যালেসের দখল নিয়ে নিয়েছেন। আফগানিস্তানের স্থানীয় মিডিয়া অনুযায়ী তালিবানের ডেপুটি লিডার মোল্লা বেরাদর জানিয়েছেন, তাদের কখনও এ রকম আশা ছিল না, তারা এভাবে আফগানিস্তানে ফিরে আসবেন। তালিবান নেতা বলেন, এখন তাদের পরীক্ষা এটাতেই যে তারা আফগানিস্তানের মানুষের ভালোর জন্য তাদের সুরক্ষা বিধির জন্য কাজ করবেন, এটা প্রমাণ করা।
এলাকা দখলে মনোযোগ তালিবানদের
একটি নিউজ-পেপারের খবর অনুযায়ী তালিবানের প্রবক্তা জম্বিহুল্লা মুজাহিদ জানিয়েছেন, লুটপাট এবং অরাজকতা রুখতেই তারা কাবুলের কিছু এলাকায় ঢুকবেন এবং সুরক্ষাবল দ্বারা খালি করে দেওয়া চৌকিগুলিতে তারা দখল নেবে। তারা সাধারণ মানুষকে জানিয়েছেন, যে কাবুলে তাদের প্রবেশ এলাকার মানুষের ভয়ের কোনও কারণ নেই।