Advertisement

Nimisha Priya: 'তোমার কথা মনে পড়ছে মা', মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নিমিশা প্রিয়ার মুক্তির আকুতি ১৩ বছরের মেয়ের

ইয়েমেনে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ভারতীয় নার্স নিমিশা প্রিয়ার মেয়ে মিশেল নিজের মায়ের প্রাণ বাঁচাতে আবেগঘন আবেদন জানিয়েছে। ১৩ বছর বয়সী মিশেল বাবা টমি থমাস ও মানবাধিকার কর্মী ড. কেএ পলের সঙ্গে ইয়েমেনে গিয়ে সেদেশের কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছে।

Aajtak Bangla
  • দিল্লি,
  • 28 Jul 2025,
  • अपडेटेड 5:58 PM IST
  • ইয়েমেনে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ভারতীয় নার্স নিমিশা প্রিয়ার মেয়ে মিশেল নিজের মায়ের প্রাণ বাঁচাতে আবেগঘন আবেদন জানিয়েছে।
  • ১৩ বছর বয়সী মিশেল বাবা টমি থমাস ও মানবাধিকার কর্মী ড. কেএ পলের সঙ্গে ইয়েমেনে গিয়ে সেদেশের কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছে।

ইয়েমেনে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ভারতীয় নার্স নিমিশা প্রিয়ার মেয়ে মিশেল নিজের মায়ের প্রাণ বাঁচাতে আবেগঘন আবেদন জানিয়েছে। ১৩ বছর বয়সী মিশেল বাবা টমি থমাস ও মানবাধিকার কর্মী ড. কেএ পলের সঙ্গে ইয়েমেনে গিয়ে সেদেশের কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছে।

মিশেল তার মায়ের সঙ্গে শেষ দেখা করেছিল এক দশকেরও বেশি আগে। ভিডিও বার্তায় সে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেছে, 'আমি তোমাকে ভালোবাসি মা। আমি তোমাকে খুব মিস করি। দয়া করে আমার মাকে বাড়ি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করুন।'

স্বামীর আবেগঘন আবেদন
নিমিশার স্বামী টমি থমাস সরাসরি ইয়েমেনি প্রশাসনের কাছে আবেদন করেন, দয়া করে আমার স্ত্রীকে বাঁচান। তাঁকে তাঁর শহরে ফিরতে দিন।'

'ভালোবাসাই সবচেয়ে বড় শক্তি', বললেন ড. কেএ পল
ড. কেএ পল এই উদ্যোগকে 'বিশুদ্ধ মানবিক মিশন' হিসেবে ব্যাখ্যা করে বলেন—'নিমিশার একমাত্র মেয়ে গত ১০ বছর ধরে তাকে দেখতে পায়নি। তার আকুল আর্তি ও চোখের জল কোনো জাতির হৃদয় নাড়া দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।'

তিনি আরও বলেন—'নিমিশা এখন ভারতের কন্যা নয় কেবল, শান্তির প্রতীক। তার মুক্তি যদি হয়, তাহলে এটি বিশ্বের যুদ্ধবিধ্বস্ত বহু অঞ্চলের জন্য একটি আশার বার্তা হবে।'

রক্তমূল্য দিলেও রাজি নয় ভুক্তভোগীর পরিবার
২০১৮ সালের মার্চ মাসে ইয়েমেনে এক স্থানীয় নাগরিকের হত্যার অভিযোগে নিমিশা প্রিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করে ২০২০ সালে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করা হয়। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ইয়েমেন প্রেসিডেন্ট রাশাদ আল-আলিমি এবং পরবর্তীতে হুথি নেতা মাহদি আল-মাশাত সেই দণ্ড অনুমোদন করলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে।

ভারত সরকার কূটনৈতিক স্তরে যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছে। তবে স্থানীয় ভুক্তভোগীর পরিবার এখনও পর্যন্ত কোনও রক্তমূল্য গ্রহণে রাজি হয়নি এবং মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবিতে অনড়।

গ্র্যান্ড মুফতির হস্তক্ষেপ
কেরালার গ্র্যান্ড মুফতি কাঁথাপুরম এপি আবুবকর মুসলিয়ারও এই মামলায় হস্তক্ষেপ করেছেন। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফলে অন্তত মৃত্যুদণ্ড আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে।

Advertisement

আন্তর্জাতিক মনোযোগের কেন্দ্রে নিমিশা
নিমিশা প্রিয়ার মামলা গত কয়েক বছর ধরেই আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মহলে আলোচিত হয়ে উঠেছে। একজন নার্স হিসেবে বিদেশে কাজ করতে গিয়ে আজ তার জীবনমৃত্যুর লড়াই। তার নিরীহ কিশোরী কন্যার কণ্ঠে সেই মায়ের জন্য আকুতি শুধু এক ব্যক্তিগত আর্তিই নয়, বরং তা হয়ে উঠেছে এক বিশ্ব মানবিক আবেদন।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement