ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্য়েই আবারও বাটি হাতে দাঁড়াল ভিখারি পাকিস্তান। আইএমএফ-র কাছে ১.৩ বিলিয়ন ডলার ভিক্ষা চেয়েছে তারা। পাকিস্তানের আবেদন বিবেচনা করতে শুক্রবার বৈঠকে বসছে আইএমএফ। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের ১.৩ বিলিয়ন ডলারের নতুন ঋণ চাওয়ার আবেদনের বিরোধিতা করবে ভারত। আইএমএফ-এর ভারতের এরজিকিউটিভ ডিরেক্টর পরমেশ্বরন আইয়ার এই সভায় উপস্থিত থাকবেন। তিনিই জঙ্গিস্তান পাকিস্তানের আবার ঋণ পাওয়ার আবেদনের বিরোধিতা করবেন সূত্র জানিয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচির অধীনে ইসলামাবাদ ঋণের জন্য আবেদন জানিয়েছে। সেই আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে আইএমএফ-র বোর্ড। পাশাপাশি পাকিস্তানকে আগেই দেওয়া ৭ বিলিয়ন ডলারের বেলআউট প্যাকেজের পর্যালোচনাও করবে। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের ফান্ডিংয়ে প্রতিবেশী দেশটির ভূমিকা নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ থাকায় পাকিস্তানকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের তীব্র বিরোধিতা করে ভারত।
ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি অভিযোগ করেছেন যে পাকিস্তান সামরিক-গোয়েন্দা অভিযান এবং সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলিকে সাহায্য করার জন্য আইএমএফ ঋণ-সহ আন্তর্জাতিক আর্থিক সাহায্যের অপব্যবহার করছে। তিনি বিশেষভাবে লস্কর-ই-তইবা (এলইটি) এবং জইশ-ই-মহম্মদের (জেইএম) মতো পাকিস্তানি জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির দিকে ইঙ্গিত করেছিলেন। এই দুই জঙ্গি সংগঠন ভারতে অসংখ্য হামলার সঙ্গে যুক্ত এবং রাষ্ট্রসংঘের নিষেধাজ্ঞার অধীনে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসাবে ঘোষিত।
২০২৩ সালে পাকিস্তান দেউলিয়ার দ্বারপ্রাপ্ত থেকে ফিরে আসে। সৌজন্যে আইএমএফ-র ৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ। পাকিস্তান এখনও ধার করেই চলছে। আরও ১.৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছে।
এদিকে, বিশ্ব ব্যাঙ্ক গ্রুপের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেছেন। পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করার ভারতের সিদ্ধান্তে বিশ্ব ব্যাঙ্ক হস্তক্ষেপ করবে না বলে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেছেন বলে জানা গিয়েছে। বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রধান ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সঙ্গেও দেখা করেন।