Advertisement

Pakistan Government: পাকিস্তানে কনডমের দাম কমাতে চায় শেহবাজ শরিফের সরকার, কারণ জানলে অবাক হবেন

Pakistan Government: কনডম ও গর্ভনিরোধকে জিএসটি ছাড় দিতে চেয়েছিল পাকিস্তান সরকার। কিন্তু IMF স্পষ্ট জানাল, চলতি অর্থবর্ষে করছাড়ের প্রশ্নই নেই। অর্থনৈতিক সংকটে ঋণনির্ভর পাকিস্তানের সামনে বাড়ল চাপ।

Aajtak Bangla
  • নয়াদিল্লি,
  • 18 Dec 2025,
  • अपडेटेड 8:25 PM IST

Pakistan Government: পাকিস্তানে কনডম ও গর্ভনিরোধক পণ্যের উপর থাকা ১৮ শতাংশ জিএসটি কমানোর আবেদন নাকচ করে দিল আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF)। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের নির্দেশে ফেডারেল বোর্ড অব রেভিনিউ (FBR) এই করছাড় চেয়েছিল। কিন্তু IMF জানিয়ে দিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষের মাঝপথে কোনও ধরনের করছাড় সম্ভব নয়।

‘দ্য নিউ ইন্টারন্যাশনাল’ ও ‘জিও নিউজ’-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, IMF কর্তারা স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, এই ধরনের করছাড় নিয়ে আলোচনা হতে পারে শুধু ২০২৬-২৭ অর্থবর্ষের বাজেট তৈরির সময়। ফলে আপাতত সরকারের পরিকল্পনায় বড়সড় ধাক্কা খেল ইসলামাবাদ।

বর্তমানে পাকিস্তান IMF-এর ৩৭ মাসের Extended Fund Facility (EFF) এবং Resilience and Sustainability Facility (RSF)-এর আওতায় ঋণ পাচ্ছে। এই প্যাকেজের লক্ষ্য অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, রাজস্ব ঘাটতি কমানো এবং জলবায়ু সংক্রান্ত ঝুঁকি মোকাবিলা। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩.৩ বিলিয়ন ডলার ছাড় হয়েছে, যার মধ্যে সাম্প্রতিক কিস্তি হিসেবে ১.২ বিলিয়ন ডলার অনুমোদন মিলেছে কঠোর শর্তে।

আরও পড়ুন

চলতি অর্থবর্ষে পাকিস্তানের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ১৩.৯৭৯ ট্রিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি। এই পরিস্থিতিতে IMF-এর মতে, কনডমে জিএসটি কমালে সরকারি কোষাগারে ৪০ থেকে ৬০ কোটি রুপির বাড়তি চাপ পড়বে, যা গ্রহণযোগ্য নয়। একই কারণে স্যানিটারি প্যাড ও বেবি ডায়াপারে করছাড়ের প্রস্তাবও বাতিল হয়েছে।

IMF-এর আশঙ্কা, এ ধরনের ছাড় দিলে কর ব্যবস্থায় শিথিলতা আসবে এবং চোরাচালান বাড়তে পারে। অথচ বাস্তবে পাকিস্তানের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার এখন ২.৫৫ শতাংশ, যা বিশ্বের অন্যতম সর্বোচ্চ। প্রতি বছর প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষ বাড়ছে। গর্ভনিরোধক পণ্যের দাম বেশি থাকলে পরিবার পরিকল্পনা ব্যাহত হতে পারে, যার সরাসরি প্রভাব পড়বে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা পরিষেবার উপর।

অর্থনৈতিক দেউলিয়ার ঝুঁকিতে থাকা পাকিস্তানের কাছে IMF-এর শর্ত মানা ছাড়া আপাতত কোনও বিকল্প পথ খোলা নেই। এমনটাই মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
 

Read more!
Advertisement
Advertisement