ভারতের ড্রোন হামলায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছে পাকিস্তানের মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম। তারপরেই আতঙ্কে তটস্থ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। ভারতের আরও আক্রমণের ভয়ে তিনি এখন জরুরি বৈঠক করছেন। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন পাকিস্তান সেনা ও আইএসআই-র কর্তারা। সূত্রের খবর, এই বৈঠকে রয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফও। তাঁর ভাই ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেহবাজের অফিসে হচ্ছে এই বৈঠক। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করার জন্য পাকিস্তানে শীর্ষ সামরিক কর্তাদের আলোচনা চলছে। ইতিমধ্য়েই ইসলামাবাদে সাইরেন বাজছে ঘন ঘন।
বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের ১০টি শহরে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ভারত। অপারেশন সিঁদুরের জবাবে ভারতের ১৫টি সামরিক টার্গেটে হামলা চালানোর চেষ্টা করে পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার পাল্টা জবাবে পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি স্থানে এয়ার ডিফেন্স রাডার ও সিস্টেম ধ্বংস করে দিয়েছে ভারত। এই হামলায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর শিয়ালকোট এবং লাহোরে এয়ার ডিফেন্স ইউনিটগুলি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে। সূত্র আরও জানিয়েছে যে চিনে তৈরি HQ-9 মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম ইউনিটগুলিতে আঘাত করা হয়েছিল। যার ফলে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কার্যকরভাবে প্রতিরক্ষাহীন হয়ে পড়েছে। সূত্রমতে, ড্রোন হামলায় পাকিস্তানি সেনা সদর দফতরের ৯টি মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম ইউনিটের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। রয়টার্স এবং স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, লাহোরে আচমকা সাইরেন বেজে ওঠে। তারপর লোকজন তাঁদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে। ওয়ালটন বিমানবন্দরের কাছে একের পর এক বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে যে লোকজন আতঙ্কে তাঁদের ঘর থেকে বেরিয়ে আসছেন এবং ধোঁয়ার মেঘ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বিবৃতি জারি করে বলেছে, 'আজ সকালে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি স্থানে এয়ার ডিফেন্স রাডার এবং সিস্টেমগুলিকে টার্গেট করেছে। একইভাবে পাকিস্তানকে জবাব দিয়েছে। লাহোরে একটি এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ধ্বংস করা হয়েছে।' বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে, ৭ এবং ৮ মে মধ্যরাতে পাকিস্তান ড্রোন এবং মিসাইল ব্যবহার করে ভারতের অবন্তীপুরা, শ্রীনগর, জম্মু, পাঠানকোট, অমৃতসর, কাপুরথলা, জলন্ধর, লুধিয়ানা, আদমপুর, ভাটিন্ডা, চণ্ডীগড়, নাল, ফালোদি, উত্তরলাই এবং ভূজ-সহ উত্তর ও পশ্চিম ভারতের বেশ কয়েকটি সামরিক স্থানে আক্রমণ করার চেষ্টা করেছিল। এই আক্রমণগুলিকে ইন্টিগ্রেটেড কাউন্টার ইউএএস গ্রিড ও এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম দ্বারা নিষ্ক্রিয় করা হয়েছিল। এই আক্রমণগুলির ধ্বংসাবশেষ এখন বেশ কয়েকটি স্থান থেকে উদ্ধার করা হচ্ছে, যা পাকিস্তানি আক্রমণের প্রমাণ।'
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, পাকিস্তান জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়ারা, বারামুল্লা, উরি, পুঞ্চ, মেন্ধার এবং রাজৌরি সেক্টরে মর্টার এবং হেভি ক্যালিবার আর্টিলারি ব্যবহার করে নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে বিনা উস্কানিতে গুলিবর্ষণের তীব্রতা বাড়িয়েছে। পাকিস্তানি গুলিবর্ষণের ফলে তিনজন মহিলা, পাঁচজন শিশু সহ ১৬ জন নিরীহ প্রাণ হারিয়েছে। এখানেও ভারত প্রতিক্রিয়া জানাতে বাধ্য হয়েছে।