সারা বিশ্বে আমেরিকার দাদাগিরি আর চলবে না। বরং বিশ্বশক্তির নতুন অক্ষ হিসাবে সামনে আসছে BRICS (ব্রাজিল, রাশিয়া, ইন্ডিয়া, চিন ও দক্ষিণ আফ্রিকা)। যার ফলে এখন রাশিয়ার তেল কেনার ক্ষেত্রে চিনের মুদ্রা ইউয়ানে পেমেন্ট করছে ভারত। আর তার ফলেই সারা বিশ্বে ডলারের যে বাড়বাড়ন্ত, সেটা শেষ হয়ে যাবে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এতে ক্ষতির মুখে পড়তে পারে আমেরিকার অর্থনীতি।
যদিও মাথায় রাখতে হবে ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার মোট যা ডিল, তার খুব কম শতাংশ চিনা টাকায় পেমেন্ট করা হয়েছে। তবে এই চুক্তি দ্বারা এটা পরিষ্কার যে, ভারত আদতে চিনের সঙ্গে সম্পর্কে উষ্ণতা ফেরাতে চাইছে। গড়ে উঠছে ভারত, চিন এবং রাশিয়ার অক্ষ। আর ট্রাম্পের দাদাগিরি সওয়া হবে না।
মাথায় রাখতে হবে, চিনের ১ ইউয়ানে হল ভারতীয় টাকায় ১২.৩৪ টাকায়। তাই এখন থেকে চিনের টাকাতেই রাশিয়াকে কিছুটা পেমেন্ট করছে ভারত। ডলারকে ফেলছে বিপদে।
বড় বার্তা দিচ্ছে ভারত
ভারত, চিন, রাশিয়াকে বারবার হুমকি দিয়ে এসেছে আমেরিকা। এমনকী এই সব দেশের উপর শুল্কও চাপিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার ফলে সোজাসুজি আঘাত পড়েছে দেশগুলির অর্থনীতিতে। আর আমেরিকার এই দাদাগিরি একবারেই মেনে নিতে চাইনি ভারত, চিন, রাশিয়া। তাই এই তিনটি দেশ স্পষ্টতই একে অপরের পাশে আসছে। আর সেই বিষয়টাই স্পষ্ট হয়ে গেল ভারতের একটি চালে। আমাদের দেশ চিনা মুদ্রায় রাশিয়াকে পেমেন্ট করে ডলারকে চ্যালেঞ্জে ফেলছে। যার ফলে আদতে আমেরিকার ডলারের উপর নির্ভরতা কমবে। তাতে মার্কিন অর্থনীতি কিছুটা হলেও নড়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
কী জানা গিয়েছে?
সম্প্রতি ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থা Indian Oil Corporation রাশিয়ার তেলের জন্য চিনা টাকা ইউয়ানে পেমেন্ট করেছে রাশিয়াকে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সাল থেকে সরকারি সংস্থারা পেমেন্টের জন্য চিনের টাকা ব্যবহার করেনি। তবে বেসরকারি সংস্থারা সেই টাকা ব্যবহার করে গিয়েছে। এখন আবার নতুন করে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাও উয়ানের মাধ্যমেই পেমেন্ট শুরু করল।
ওদিকে আবার ভারত যে রাশিয়ার তেল থেকে তেল কিনবে না, সেটা নিয়ে বড় ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প। যদিও তাঁর এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। দেশের স্বার্থে যেটা ভালো হয়, সেটাই করা হবে বলে জানিয়েছে তারা।