তেহরানের প্রবাসী ভারতীয়দের জন্য অ্যাডভাইজারি জারি করল বিদেশ মন্ত্রক। তাতে তেহরান শহর ছাড়ার সুপারিশ করা হয়েছে। গত কয়েক দিনে বারবার ইজরায়েলের ড্রোন এবং মিসাইল হামলায় কেঁপে উঠছে ইরানের রাজধানী। তার মধ্যেই এমন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
তেহরানে ভারতীয় দূতাবাসের তরফে বলা হয়েছে, 'যাঁরা নিজেরাই শহর ছাড়তে সক্ষম, তাঁরা যেন দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরে যান।' এখনও যাঁরা দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি, তাঁদের জন্য তিনটি জরুরি নম্বরও শেয়ার করা হয়েছে: +৯৮ ৯০১০১৪৪৫৫৭, +৯৮ ৯১২৮১০৯১১৫ এবং +৯৮ ৯১২৮১০৯১০৯।
প্রসঙ্গত, এই নিয়ে ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধ পরিস্থিতি পঞ্চম দিনে গড়িয়েছে। দুই দেশের হামলা-পাল্টা হামলায় ইতিমধ্যেই শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ইজরায়েল থেকে প্রায় ৩ হাজার মানুষকে অন্যত্র সরানো হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে, তেহরানে আটকে থাকা ভারতীয়দের সরিয়ে আনতে তৎপর নয়াদিল্লি। সরকারি সূত্রে খবর, সোমবার ও মঙ্গলবার রাতের মধ্যে প্রথম দফায় ১১০ জন ভারতীয় নাগরিক আর্মেনিয়া পৌঁছেছেন।
ইরানে আটকে থাকা ১০ হাজারেরও বেশি ভারতীয় পড়ুয়াকে নিরাপদে সরানোর অনুরোধ জানিয়েছে ভারত। ইরান জানিয়েছে, আকাশপথ বন্ধ থাকার কারণে বিকল্পভাবে স্থলপথে আজারবাইজান, তুর্কমেনিস্তান বা আফগানিস্তান হয়ে বেরোনোর পথ খুঁজতে হবে।
এদিকে, ইজরায়েল ও ইরান একে অপরের ওপর লাগাতার হামলা চালিয়ে চলেছে। তেহরানে বিস্ফোরণ ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হয়েছে। রাজধানীর পূর্ব অংশে ধোঁয়া উঠতে দেখা গেছে। নাতাঞ্জ, যেখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক কেন্দ্র রয়েছে, সেখানেও বিমান প্রতিরক্ষা সক্রিয় হয়েছে বলে খবর।
তেল আভিভে মঙ্গলবার রাতভর বাজে বিমান হানার সতর্কতা। যদিও কোনও ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতের খবর পাওয়া যায়নি।
রয়টার্স সূত্রে খবর, ইরান চায় ওমান, কাতার এবং সৌদি আরব যেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে রাজি করান ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করাতে। তার বিনিময়ে পারমাণবিক আলোচনায় নমনীয় মনোভাব দেখাতে পারে তেহরান।