Advertisement

Donald Trump : 'ভারত ট্যারিফ শূন্য করার প্রস্তাব দিয়েছিল', বড় দাবি ট্রাম্পের

ভারত সরকার সম্প্রতি শুল্ক হ্রাস করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল। কিন্তু দেরি হয়ে গিয়েছে। এবার দাবি করলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখেন, তাঁর কাছে নয়া দিল্লির তরফে আবেদন জানানো হয়েছিল এই বিষয়ে।

Narendra Modi,Donald TrumpNarendra Modi,Donald Trump
Aajtak Bangla
  • দিল্লি ,
  • 01 Sep 2025,
  • अपडेटेड 8:20 PM IST
  • ভারত সরকার সম্প্রতি শুল্ক হ্রাস করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল
  • এবার দাবি করলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

ভারত সরকার সম্প্রতি শুল্ক হ্রাস করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল। কিন্তু দেরি হয়ে গিয়েছে। এবার দাবি করলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখেন, তাঁর কাছে নয়া দিল্লির তরফে আবেদন জানানো হয়েছিল এই বিষয়ে। কিন্তু ততদিনে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল। 

ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ভারতের সঙ্গে আমেরিকার ব্যবসায়িক সম্পর্ক কেমন তা নিয়ে লম্বা পোস্ট করেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবি, ভারত আমেরিকায় বিপুল পণ্য বিক্রি করে। তবে আমেরিকা ভারতে খুব অল্প জিনিসই বিক্রি করতে পারে। ট্রাম্পের মতে, এটা অনেকটা একতরফা ব্যবসার মতো। 

ট্রাম্প লিখেছেন, 'খুব কম লোকই জানেন, আমরা ভারতে খুব কম ব্যবসা করি।  বরং ভারত আমেরিকায় অনেক বেশি ব্যবসা করে থাকে। বলা যায়, আমরা ভারতীয় পণ্যের বড় ক্রেতা। তবে সেভাবে বিক্রেতা হয়ে উঠতে পারিনি।' ভারত সবথেকে বেশি আমদানি শুল্ক আরোপ করে এই অভিযোগও করেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ভারতের আমদানি শুল্কের জন্য আমেরিকান কোম্পানিগুলোর পক্ষে ভারতে ব্যবসা করা কঠিন হয়ে পড়েছে।  

ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার বাণিজ্যিক সম্পর্ক ভালো। তা নিয়েও নিজের খারাপ লাগা চেপে রাখেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ভারত যে রাশিয়া থেকে প্রচুর পরিমাণে তেল ও সামরিক সরঞ্জাম কেনে, সেকথাও উল্লেখ করেন তিনি। যদিও এই প্রথম নয়, আগেও একই কথা বলেছেন ট্রাম্প। তাঁর আরও দাবি, ভারত এখন মার্কিন আমদানির উপর শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে, তবে তা অনেক দেরিতে করেছে। তাঁর কথায়, 'ভারতের এই পদক্ষেপ বহু বছর আগেই নেওয়া উচিত ছিল।' 

ট্রাম্পের পোস্ট

প্রসঙ্গত, আমেরিকার সঙ্গে শুল্ক নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যেই সাত বছর পর চিন সফরে গিয়েছেন মোদি। সীমান্ত সংঘাত ভুলে সেখানে পরস্পরের সঙ্গে হাত মেলান মোদি ও জিনপিং। সেখানে ছিলেন রাশিয়ার পুতিনও। এই প্রেক্ষিতে ট্রাম্পের এই বক্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন অনেকে। 

আন্তর্জাতিক ও অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রাম্পের ট্যারিফ নীতি ভারত-আমেরিকা সম্পর্কের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় প্রমাণ হতে পারে। ট্রাম্পের নীতির ফলে ভারতের কাছাকাছি এসেছে চিন। দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে একাধিক বিষয়ে বৈঠকও হয়েছে। তার মধ্যেই সামনে এল ট্রাম্পের বক্তব্য।  
 

Advertisement
Read more!
Advertisement
Advertisement