ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে। বৃহস্পতিবার ‘অপারেশন সিঁদুরে’র পর পাকিস্তান ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে জম্মু, পাঠানকোট এবং উধমপুর এলাকায় হামলার চেষ্টা করে। তবে ভারতের শক্তিশালী S-400 এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সেই হামলা মাঝ আকাশেই আটকায়। পাল্টা জবাবে ভারতীয় সেনা করাচি পোর্ট পর্যন্ত হামলা চালায়। পাকিস্তানের একটি মার্কিন F-16, দুটি চিনা JF-17 যুদ্ধবিমান সহ রাডার এবং ডিফেন্স সিস্টেমও ধ্বংস করে দেয় ভারত।
এহেন পরিস্থিতিতে প্রতিক্রিয়া দিল আমেরিকা এবং তুরস্ক
আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স জানান, এই যুদ্ধে তারা(আমেরিকা) সরাসরি হস্তক্ষেপ করবে না। তাঁর বক্তব্য, ‘ভারত বা পাকিস্তান—কাউকেই আমরা অস্ত্র ফেলে দিতে বলার পজিশনে নেই। আমরা কূটনৈতিক পথেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছি। আশা করি, এটা বড় আঞ্চলিক যুদ্ধ কিংবা পরমাণু যুদ্ধে পরিণত হবে না।’
জেডি ভান্স আরও বলেন, 'আপনারা জানেন, আমেরিকা কখনই ভারতকে অস্ত্র ফেলতে বলবে না। একইভাবে পাকিস্তানকেও বলব না। আমরা কূটনৈতিক পথেই বিষয়টি সামলানোর চেষ্টা করছি। আমরা চাই না এই উত্তেজনা কোনও বড় যুদ্ধ কিংবা পরমাণু যুদ্ধে রূপান্তরিত হোক। তবে আমাদের মনে হচ্ছে না এখনই সেরকম কিছু হবে।'
জে ডি ভান্সের সম্পূর্ণ বক্তব্য:
'এই পরিস্থিতিতে উত্তেজনা কিছুটা কমাতে উৎসাহ দেওয়ার চেষ্টা করা ছাড়া আমাদের কিছু করণীয় নেই। কিন্তু আমরা এমন কোনও যুদ্ধে জড়াতে চাই না যেখানে আমাদের কোনও যোগ নেই। আমেরিকার এটি নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতার সঙ্গেও এর কোনও সম্পর্ক নেই। আপনারা জানেন, আমেরিকা ভারতীয়দের অস্ত্র সমর্পণ করতে বলতে পারে না। আমরা পাকিস্তানীদেরও অস্ত্র সমর্পণ করতে বলতে পারি না। তাই, আমরা কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে এই বিষয়টি নিয়ে কাজ চালিয়ে যাব। আমাদের আশা এবং বিশ্বাস হল এটি বৃহত্তর আঞ্চলিক যুদ্ধ বা, ঈশ্বর না করুন, একটি পারমাণবিক সংঘাতে পরিণত হবে না। আপাতত, আমরা মনেও করি না যে এমন কিছু ঘটবে।'
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন
পাকিস্তানে নিহতদের ‘শহিদ’ বলে উল্লেখ করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট। বলেন, ‘আমরা চিন্তিত। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এই উত্তেজনা-ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে পুরোটা যুদ্ধের রূপ নিতে পারে। এতে বহু সাধারণ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।’
এরদোয়ান আরও বলেন, ‘গতকাল আমি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে ফোনালাপ করি। জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী হামলার বিষয়ে আন্তর্জাতিক তদন্তের প্রস্তাবকে আমরা যুক্তিযত বলে মনে করি।’
তিনি বলেন, 'বর্তমানে উত্তেজনা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে সেখানে আগুনে ঘি না ঢেলে, বরং আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।’