Advertisement

India Russia Defence Deal: ভারতের হাতে 'সুদর্শন চক্র', রাশিয়া আরও S-400 মিসাইল দিচ্ছে, কেন 'একঘরে' পাকিস্তান?

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ভারতের কাছে ইতিমধ্যেই  S-400 মিসাইল সিস্টেম রয়েছে। আরও বেশ কয়েকটি কেনার কথাবার্তা চলছে। যার নির্যাস, ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। 

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনপ্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন
Aajtak Bangla
  • মস্কো, নয়াদিল্লি,
  • 03 Sep 2025,
  • अपडेटेड 10:18 AM IST
  • ভারতীয় সেনার হাতে এসে যাবে আরও  S-400 মিসাইল
  • ২০১৮ সালের চুক্তি ও বারবার বিলম্ব
  • মার্কিন চাপের মাঝেও রাশিয়ার পাশে ভারত

পহেলগাঁও হামলার পরে ভারতের 'অপারেশন সিঁদুর'এ তছনছ হয়েছে পাকিস্তান। আর পাকিস্তানকে সবক শেখানোর নেপথ্যে ভারতের মূল হাতিয়ার ছিল S-400 মিসাইল। পাকিস্তানের কাছে থাকা একের পর এক চিনা মিসাইল ধ্বংস করে দিয়েছিল  S-400 মিসাইল। বেছে বেছে তথনছ করে দিয়েছিল পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে। এহেন  S-400 মিসাইল আরও আসছে ভারতে। রাশিয়ার সঙ্গে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু করেছে ভারত। পাকিস্তানের ঘুম উড়িয়ে খুব শীঘ্রই ভারতীয় সেনার হাতে এসে যাবে আরও  S-400 মিসাইল। বস্তুত, চিনে SCO সামিটে ভারত, রাশিয়া ও চিনের জোটের জেরে একঘরে হয়ে গিয়েছে পাকিস্তান। এমনকী তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানকেও দেখা গেল মোদীর সঙ্গে গল্পে মশগুল। ফলে আমেরিকার প্রতি অতি প্রেমের খেসারত দিচ্ছেন শেহবাজ শরিফ। মোদী ও পুতিনদের আড্ডায় ব্রাত্য ছিলেন শরিফ। 

সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের খবর, মস্কো ও নয়াদিল্লি  S-400 ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেম কেনার ডিল নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে। এই মিসাইল আসলে অ্যান্টি মিসাইল সিস্টেম, যা শত্রুপক্ষের মিসাইলকে আকাশেই ধ্বংস করে দেয়। এটি হল একটি এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ভারতের কাছে ইতিমধ্যেই  S-400 মিসাইল সিস্টেম রয়েছে। আরও বেশ কয়েকটি কেনার কথাবার্তা চলছে। যার নির্যাস, ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। 

মঙ্গলবার গভীর রাতে রুশ সংবাদ সংস্থা টাস জানায়, মস্কো এবং নয়াদিল্লি বর্তমানে S-400 সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল সরবরাহ আরও বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনায় বসেছে। রাশিয়ার ফেডারেল সার্ভিস ফর মিলিটারি-টেকনিক্যাল কোঅপারেশন–এর প্রধান দিমিত্রি শুগায়েভকে উদ্ধৃত করে টাস জানিয়েছে, S-400 মিসাইল দিয়ে ভারতকে সহযোগিতা আরও বাড়ানোর সুযোগ আছে। নতুন ডেলিভারি নিয়েও কথা চলছে। আপাতত আলোচনা স্তরে রয়েছে।

S-400 মিসাইল, ছবি: AFP

২০১৮-র চুক্তি ও বারবার বিলম্ব

২০১৮ সালে ভারত ৫.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে রাশিয়ার সঙ্গে পাঁচটি S-400 ট্রায়াম্ফ দীর্ঘপাল্লার মিসাইল সিস্টেম কেনার চুক্তি করে। চিনের সম্ভাব্য হুমকির মোকাবিলায় এই ব্যবস্থা অপরিহার্য বলে দাবি করে নয়াদিল্লি। তবে একাধিকবার এই ডেলিভারি পিছিয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী শেষ দুটি S-400 ইউনিট ভারতকে সরবরাহ করবে রাশিয়া ২০২৬ এবং ২০২৭ সালে। কয়েকদিন আগেই সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO)–এর বৈঠকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ‘প্রিয় বন্ধু’ বলে সম্বোধন করেন। জবাবে মোদী বলেন, 'কঠিন সময়েও ভারত ও রাশিয়া একে অপরের পাশে থেকেছে।' S-400  নিয়ে নতুন করে আলোচনা মোদী ও পুতিনের আরও ভাল বন্ধুত্বেরই নির্যাস।

Advertisement

মার্কিন চাপের মাঝেও রাশিয়ার পাশে ভারত

রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বুধবার মন্তব্য করেছেন, আমেরিকা একাধিকবার ভারতকে রাশিয়া থেকে জ্বালানি ও অস্ত্র কেনা বন্ধ করার জন্য চাপ দিয়েছিল। কিন্তু ভারত সেই চাপে মাথা নত করেনি। লাভরভ বলেন, মস্কো এটা উপলব্ধি করে এবং ভারতকে এজন্য আমরা কৃতজ্ঞ।

প্রতিরক্ষা আমদানিতে রাশিয়ার প্রভাব

স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (SIPRI) তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ভারতের অস্ত্র আমদানির ৩৬ শতাংশ এসেছে রাশিয়া থেকে। দ্বিতীয় স্থানে ফ্রান্স (৩৩ শতাংশ) এবং তৃতীয় স্থানে ইজরায়েল শতাংশ)।

কেন এত গুরুত্বপূর্ণ S-400 মিসাইল?

বিশেষজ্ঞদের মতে, S-400 সিস্টেমের সবচেয়ে বড় শক্তি তার দূরপাল্লার টার্গেট ধ্বংস করার ক্ষমতা। একসঙ্গে বিভিন্ন দিক থেকে আসা শত্রুপক্ষের যুদ্ধবিমান, ড্রোন বা মিসাইলকে প্রতিহত করতে সক্ষম এটি। 

শুধু প্রতিরক্ষা সুরক্ষাই নয়, রাশিয়ার সঙ্গে এই চুক্তি আরও বহু মাত্রিক কূটনৈতিক বার্তা বহন করছে। তার মধ্যে অন্যতম হল, পাকিস্তানকে চাপে রাখা। ওদিকে চিনকেও বিশ্বাস নেই। সীমান্তে তাই শক্তিশালী এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম চিনকেও চাপে রাখবে। আমেরিকাকে কড়া বার্তাও দেওয়া হচ্ছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প যতই চাপ দিক, রাশিয়া ভারতের পাশে রয়েছে। দেখা যাচ্ছে, ফ্রান্স ও ইজরায়েল থেকে ভারত অস্ত্র কিনলেও, রাশিয়া এখনও প্রধান অংশীদার।


Read more!
Advertisement
Advertisement