ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত মায়ানমারে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল ভারত। ভারতীয় বায়ুসেনার C-130 J বিমানে ১৫ টন ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এই ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে সৌর ল্যাম্প, খাদ্য সামগ্রী, রান্নাঘরের সেট, তাঁবু, স্লিপিং ব্যাগ, কম্বল, রেডি-টু-ইট মিল, জল পরিশোধক, হেলথ কিট, জেনারেটর এবং অত্যাবশ্যক ওষুধ। ওষুধের মধ্যে রয়েছে প্যারাসিটামল, অ্যান্টিবায়োটিক, ক্যনুলা, সিরিঞ্জ, গ্লাভস, তুলো ব্যান্ডেজ এবং ইউরিন ব্যাগ।
PM মোদীর বার্তা: ভারত সবরকম সাহায্যের জন্য প্রস্তুত
ভূমিকম্পের পরেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক্স-এ (প্রাক্তন টুইটার) পোস্ট করে উদ্বেগপ্রকাশ করেন। তিনি লেখেন, মায়ানমার ও থাইল্যান্ডের ভূমিকম্পের ঘটনায় আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। সকলের নিরাপত্তা ও সুস্থতা কামনা করছি। ভারত সবরকম সহায়তা দিতে প্রস্তুত। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রস্তুত থাকতে বলেছি এবং বিদেশ মন্ত্রককে মায়ানমার ও থাইল্যান্ড সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে নির্দেশ দিয়েছি।
৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষতি
শুক্রবারের এই ভূমিকম্পে মায়ানমারে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ম্যান্ডালে। সামরিক শাসক মিন অং হ্লাইং জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ৬৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত ৭৩২ জন। তবে আমেরিকার ভূ-তাত্ত্বিক সংস্থা আশঙ্কা করছে, মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
বাংলাদেশ, থাইল্যান্ডেও কম্পন
ভূমিকম্পের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে ৯০০ কিলোমিটার দূরের থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককও কেঁপে ওঠে। শহরের একাধিক ব্রিজ এবং আইকনিক কাঠামো ধসে পড়েছে। নির্মীয়মান ৩০-তলা একটি বহুতল মুহূর্তের মধ্যে ভেঙে পড়ে।
আন্তর্জাতিক ত্রাণের আবেদন মায়ানমারের
মায়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং জানান, ভূমিকম্পে ব্যাপক ধ্বংস হয়েছে। টেলিভিশন ভাষণে তিনি বলেন, যেকোনও দেশ, সংস্থা বা ব্যক্তি, যে-ই হোক না কেন, মায়ানমারে এসে সাহায্য করুন। ধন্যবাদ।
তিনি জানান, বিপর্যয়ের মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক ত্রাণের সমস্ত পথ খুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, রাজধানী নেপিদোর একটি হাসপাতালে পরিদর্শন করে আহতদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
ভারত ছাড়াও ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রসংঘ ও আরও কয়েকটি দেশ মায়ানমারে ত্রাণ পাঠানোর ঘোষণা করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভূমিকম্পের পর পুনর্গঠনে ব্যাপক আন্তর্জাতিক সহায়তা প্রয়োজন হবে।