Advertisement

India Russia oil deal: ট্রাম্পের চোখরাঙানিকে নাকচ ভারতের, হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও কিনবে রাশিয়ার তেল

হুঁশিয়ারির পর হুঁশিয়ারি। একে ভারতের রফতানির উপর ২৫ শতাংশ ট্যারিফ। তার উপর রাশিয়া থেকে তেল ও অস্ত্র কেনা নিয়েও গোঁসা ডোনাল্ড ট্রাম্প। রুশ তেল কেনার খেসারত দিতে হবে বলে 'সাবধানবাণী'ও দিয়েছেন।

'রাতারাতি রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করা অসম্ভব,' ট্রাম্পের হুঁশিয়ারিতেও অনড় ভারত, দাবি রিপোর্টে।'রাতারাতি রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করা অসম্ভব,' ট্রাম্পের হুঁশিয়ারিতেও অনড় ভারত, দাবি রিপোর্টে।
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 03 Aug 2025,
  • अपडेटेड 3:59 PM IST
  •  রাশিয়া থেকে তেল ও অস্ত্র কেনা নিয়েও গোঁসা করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
  • তবে কি সত্যিই ভারত রাশিয়ার থেকে অপরিশোধিত তেল কেনা বন্ধ করে দেবে?
  • রিপোর্টে স্পষ্ট উল্লেখ, ভারতের নীতিগত অবস্থানে বিন্দুমাত্র পরিবর্তন হয়নি।

একে ভারতের রফতানির উপর ২৫ শতাংশ ট্যারিফ চাপিয়েছেন। তার উপর রাশিয়া থেকে তেল ও অস্ত্র কেনা নিয়েও গোঁসা করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। রুশ তেল কেনার খেসারত দিতে হবে বলে 'সাবধানবাণী'ও দিয়েছেন। সম্প্রতি এক সাংবাদিক বৈঠকে বলেও ফেললেন, 'শুনছি ভারত আর(তাঁর হুঁশিয়ারির পর) রাশিয়া থেকে তেল কিনছে না।' তাঁর এই বক্তব্য জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। তবে কি সত্যিই ভারত রাশিয়ার থেকে অপরিশোধিত তেল কেনা বন্ধ করে দেবে? রয়টার্সের রিপোর্ট অবশ্য অন্য কথা বলছে। সেখানে স্পষ্ট উল্লেখ, ভারতের নীতিগত অবস্থানে বিন্দুমাত্র পরিবর্তন হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই সরকারি সূত্র জানিয়েছেন, এভাবে রাতারাতি রাশিয়ার থেকে তেল কেনা বন্ধ সম্ভব নয়।

রাশিয়ার সঙ্গে লংটার্ম চুক্তি
ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে দু'দিনের চুক্তি নয়। লংটার্ম ডিল। ফলে হঠাৎ একদিনে এভাবে আমদানি বন্ধ করা সম্ভব নয়। এমনটাই জানাচ্ছেন এক সরকারি আধিকারিক। তাঁর দাবি, একসময় মধ্যপ্রাচ্য থেকে একটানা তেল কেনা হচ্ছিল। তার ফলে বিশ্ববাজারে ক্রুড অয়েলের দামও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল। তবে এখন রাশিয়া থেকে তেল কেনা হচ্ছে বলেই তেলের দাম বৃদ্ধির গতি আটকানো গিয়েছে। তাছাড়া রাশিয়ার তেল এখনও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ঠিক করা মূল্যসীমার চেয়ে অনেক কম দামেই কেনা হচ্ছে।

এছাড়া ইরান এবং ভেনেজুয়েলার তেল কেনার বিষয়ে নানা জটিলতা, নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। রাশিয়ার তেলের উপর কোনও সরাসরি নিষেধাজ্ঞা নেই। ফলে আইনত ভারত এই আমদানিতে কোনও সমস্যা দেখছে না।

সরকারি নীতিতে কোনও বদল হয়নি
নিউ ইয়র্ক টাইমস-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই সিনিয়র ভারতীয় সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, সরকার এখনও পর্যন্ত তার নীতিতে কোনও পরিবর্তন করেনি। তবে তাঁরা সরকারি ভাবে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক প্রেস কনফারেন্সে বলেন, ‘‘রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজার ও পরিস্থিতি অনুযায়ী আমরা আমাদের শক্তির উৎসের যোগান নির্ধারণ করি।’’

রাশিয়ার পাশাপাশি আমেরিকা থেকেও তেলের আমদানি বাড়াচ্ছে ভারত
২০২২ সাল থেকে রাশিয়া পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ার পরে ভারত রুশ তেল ক্রমাগত রেয়াতি মূল্যে আমদানি করছে। বর্তমানে ভারতের মোট আমদানিকৃত তেলের প্রায় ৩৫ শতাংশ আসে রাশিয়া থেকে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত দৈনিক ১.৭৫ মিলিয়ন ব্যারেল রুশ তেল এসেছে ভারতে।

Advertisement

আমেরিকাও এখন ভারতের অন্যতম বড় তেল সরবরাহকারী। ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে ভারতের আমেরিকা থেকে তেল আমদানি ৫১ শতাংশ বেড়ে ০.১৮ মিলিয়ন ব্যারেল দৈনিক থেকে হয়েছে ০.২৭১ মিলিয়ন ব্যারেল। আর্থিক দিক থেকে, FY25-এর প্রথম ত্রৈমাসিকে যেখানে আমেরিকা থেকে আমদানি মূল্য ছিল ১.৭৩ বিলিয়ন ডলার, FY26-এর প্রথম ত্রৈমাসিকে তা বেড়ে হয়েছে ৩.৭ বিলিয়ন ডলার।

Read more!
Advertisement
Advertisement