ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে, সোমবার নিউইয়র্কে বিদেশমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর এবং মার্কিন বিদেশমন্ত্রী মার্কো রুবিওর মধ্যে বৈঠক হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন H-1B ভিসার উপর ১০০,০০০ ডলার ফি ঘোষণা করার কয়েকদিন পর এই বৈঠকটি হল। প্রসঙ্গত, আমেরিকার এই সিদ্ধান্ত ভারতের আইটি সেক্টরকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছে।
রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে তাঁদের বৈঠকে, দুই নেতা একে অপরকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। রুবিও ভারত- মার্কিন অংশীদারিত্বকে 'গুরুত্বপূর্ণ' হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য, জ্বালানি, ওষুধ এবং গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থের মতো ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। রুবিও বলেন, ভারতের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রয়েছে। তিনি ইন্দো-প্যাসিফিক এবং কোয়াড অংশীদারিত্বে একসঙ্গে কাজ করার উপরও জোর দেন।
জয়শঙ্করও এই বৈঠককে ইতিবাচক বলে বর্ণনা করেছেন এবং 'এক্স'-এ পোস্ট করে লিখেছেন, 'আমাদের কথোপকথনে দ্বিপাক্ষিক এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অগ্রাধিকারমূলক ক্ষেত্রগুলিতে অগ্রগতির জন্য আমরা একমত হয়েছি। আমরা যোগাযোগ রাখব।'
ভিসা শুল্ক ভারতীয় বাজারে প্রভাব ফেলেছে
ট্রাম্পের আকস্মিক ভিসা ফি ঘোষণার ফলে বৈঠকে গভীর প্রভাব পড়ে। ভারত H-1B ভিসার সবচেয়ে বেশি ব্যবহারকারী। গত বছর ভারত ৭১ শতাংশ ভিসা পেয়েছে, যেখানে চিন পেয়েছিল ১২ শতাংশেরও কম। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ভিসা ফি হঠাৎ বৃদ্ধির ফলে ভারতীয় আইটি কোম্পানিগুলির খরচ অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে। এই ধাক্কা এমন এক সময়ে এসেছে যখন দুই দেশের মধ্যে ইতিমধ্যেই বাণিজ্য বিরোধ চলছে। জুলাই মাসে, ট্রাম্প রাশিয়ান তেল কেনার জন্য ভারতের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন। তবে, সেপ্টেম্বরে, উভয় পক্ষ বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা পুনরায় শুরু করে। এসব সত্ত্বেও, ওয়াশিংটন এবং নয়াদিল্লি কূটনৈতিক যোগাযোগ বজায় রেখেছে। রুবিও এবং জয়শঙ্কর শেষবার জুলাই মাসে কোয়াডের বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকে দেখা করেছিলেন।