নেপালের বর্তমান পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে ভারত। পড়শি দেশে বিক্ষোভের মধ্যে সেনাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। শীর্ষ সরকারি সূত্র ইন্ডিয়া টুডেকে জানিয়েছে, ভারত নেপালে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে এবং সঙ্কটের শান্তিপূর্ণ সমাধানে করতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাবে।
ভারত এই মুহূর্তে নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখছে। নেপালের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ হতে পারে এমন কোনও পদক্ষেপ করা এড়িয়ে চলছে।
ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলিও নেপালের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। সমস্ত তথ্য সংগ্রহ, ভারতের নিরাপত্তার জন্য সম্ভাব্য ঝুঁকি কী হতে পারে তা মূল্যায়ন করছে। এসএসবি নেপাল সীমান্তে, বিশেষ করে বীরগঞ্জ-রক্সৌল এবং কাকরভিটা-শিলিগুড়ির মতো ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করছে।
ভারত সরকার নেপালে আটকে পড়া বিদেশী নাগরিকদের, যার মধ্যে ভারতীয়রাও রয়েছেন, তাদের সহায়তা করছে। সমস্ত প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। নেপালের অস্থিরতার ফলে পাচার, চোরাকারবারির, জাল পণ্যের বৃদ্ধি সহ সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে ভারত উদ্বিগ্ন।
ভারত চিনের সঙ্গে নেপালের সম্পর্কের দিকেও নজর রাখছে, কারণ নেপালে চিনের প্রভাব বৃদ্ধির ফলে এই অঞ্চলে ভারতের কৌশলগত স্বার্থের উপর প্রভাব পড়তে পারে। নেপালের অস্থিরতার সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে ভারত উদ্বিগ্ন।
ভারত আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে চায় এবং নিশ্চিত করতে চায় যে নেপালের পরিস্থিতি নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক স্বার্থের উপর প্রভাব ফেলবে না।