রাশিয়ার থেকে ভারতকে তেল কিনতে বাধা দিয়ে ভালো করছে না আমেরিকা। এর ফলে ওয়াশিংটনকে আগামিদিনে নানা সমস্যায় পড়তে হতে পারে। ভারত এই অপমান সহ্য করবে না। ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে ট্রাম্প সরকারকে এমনই বার্তা দিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
আসলে রাশিয়াকে চাপে রাখতে ভারতের উপর শুল্ক বসিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এখন ভারতীয় পণ্যের উপর গুনতে হচ্ছে ৫০ শতাংশ। যার জেরে ধাক্কা খেয়েছে ভারতের শিল্প। তার পর থেকেই দিল্লি ও ওয়াশিংটনের সম্পর্ক অনেকটাই তলানিতে চলে গিয়েছে। আর এমন আবহে বারবারই ঐতিহাসিক বন্ধু রাশিয়াকে পাশে পেয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার।
কী বললেন পুতিন?
ইন্টারন্যাশনার ভালদাই ফোরাম অব সিকিউরিটি অ্যান্ড জিওপলিটিক্যাল এক্সপার্টের বৈঠক বসেছে দক্ষিণ রাশিয়ার সোচিতে। এই বৈঠকে ১৪০টি দেশ অংশগ্রহণ করেছে। আর সেখানে উপস্থিত হয়েই পুতিন আমেরিকা তথা মার্কিন প্রেসিডেন্টকে কড়া বার্তা দিয়েছেন।
তাঁর মতে, রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যে যুক্ত দেশগুলির উপর শুল্ক বসিয়ে ভালো কাজ করছে না আমেরিকা। এর ফলে আদতে পৃথিবীতে জ্বালানির দাম বেড়ে যাবে। শুধু তাই নয়, এই কারণে আমেরিকার ফেডারেল রিসার্ভকে ইন্টারেস্ট রেট বেশির দিকে রাখতে হবে। যার জেরে আমেরিকার অর্থনীতিও বেসামাল হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন তিনি।
ভারতের পাশে দাঁড়ালেন পুতিন
আমেরিকা বহুদিন ধরেই রাশিয়া থেকে তেল কিনতে বারণ করছে ভারতকে। সেই কথা না শোনায় ভারতীয় পণ্যের উপর শুল্ক চাপিয়েছে আমেরিকা। এমনকী এইচ১বি ভিসা নীতিতেও এনেছেন বিরাট বদল। যার ফলে কিছুটা হলেও সমস্যায় পড়েছে ভারত।
তবে এই সময় মোদী সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছেন পুতিন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, 'ভারতের সঙ্গে আমাদের কখনও কোনও সমস্যা হয়নি। আমাদের মধ্যে কোনও উত্তেজনাও হয়নি কখনও।'
রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের আরও মত, ভারতের কোনও বিদেশি শক্তির কাছে মাথা নত করার প্রয়োজন নেই। তিনি বলেন, 'ভারত কখনওই অপমান সহ্য করবে না।'
এখানেই শেষ না করে তিনি জানান, ভারত যদি রাশিয়ার থেকে জ্বালানি কেনা বন্ধ করে দেয়, তাহলে তাদের ক্ষতি হতে পারে ৯ থেকে ১০ বিলিয়ন ডলার। আর সেটা ভারত মেনে নেবে না বলেই মনে করেন তিনি।
এর পাশাপাশি পুতিন নরেন্দ্র মোদীকে নিজের বন্ধু বলে প্রকাশ করেন। তাঁর সঙ্গে কথা বলতে তিনি পছন্দ করেন বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট।
ডিসেম্বরে ভারতে আসছেন পুতিন
চলতি বছরের ডিসেম্বরেই পুতিন ভারতে আসছেন বলে খবর। তার আগে এই বার্তা যে আদতে দেশের জন্য ভালো, সেটাই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।