নয়াদিল্লিতে পাকিস্তানি হাইকমিশের এক কর্তাকে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ওই কর্তাকে বহিষ্কারের পদক্ষেপে পাকিস্তান ক্ষুব্ধ। মঙ্গলবার পাকিস্তানের শেহবাজ শরিফ সরকারও একই কাজ করেছে। ইসলামাবাদে ভারতীয় হাইকমিশনের একজন কর্তাকে 'পার্সোনা নন গ্র্যাটা' (অবাঞ্ছিত ব্যক্তি) ঘোষণা করেছে তারা। ভারতীয় কর্তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভারতীয় কূটনীতিক সম্পর্কে পাকিস্তান কী বলেছে?
পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের জারি করা এক বিবৃতি অনুসারে, পাকিস্তান সরকার ইসলামাবাদে ভারতীয় হাইকমিশনারের অফিসের একজন কর্মচারীকে তাঁর বিশেষ মর্যাদার বিরুদ্ধে কার্যকলাপে জড়িত থাকার জন্য অবাঞ্ছিত ব্যক্তি হিসেবে ঘোষণা করেছে। ভারতীয় চার্জ ডি'অ্যাফেয়ার্সকে এই সিদ্ধান্ত সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে।
পাকিস্তানের এই পদক্ষেপের আগে, ভারত মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে পাকিস্তান হাইকমিশনারের অফিসের একজন কর্তাকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেয়। ভারতের বিদেশ মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে পাকিস্তান হাইকমিশনারের অফিসের একজন কর্তা তাঁর সরকারি পদ অনুযায়ী কাজ করছিলেন না। সংশ্লিষ্ট কর্তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেশ ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে, সরকার পাকিস্তানি ওই কর্তার পরিচয় এবং তিনি কী ধরনের সন্দেহজনক কার্যকলাপে জড়িত ছিলেন সে সম্পর্কে কোনও তথ্য দেয়নি।
২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় মোট ২৬ জন প্রাণ হারান। এই হামলার পর উভয় দেশই মুখোমুখি অবস্থান নেয়। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অপারেশন সিঁদুর শুরু করে ভারত। এর অধীনে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সন্ত্রাসবাদী আস্তানাগুলিতে হামলা চালানো হয়, যেখানে ১০০ জনেরও বেশি জঙ্গি নিহত হয়। এর পর পাকিস্তান ঘৃণ্য কার্যকলাপ শুরু করে এবং ভারতের নিরীহ নাগরিকদের লক্ষ্য করে আক্রমণ শুরু করে। এর জবাবে ভারত আরও বিমান হামলা চালায় এবং পাকিস্তানের সামরিক ঘাঁটিগুলিতে মারাত্মক ক্ষতি করে। তবে আপাতত দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষবিরতি জারি রয়েছে। কিন্তু এখন কূটনৈতিক স্তরে বিরোধ শুরু হয়েছে।