Iran-Israel Clash: মাসের শুরুতেই বোমাবৃষ্টি শুরু করেছে ইরান। ১ অক্টোবর ইজরায়েলের আকাশ কার্যত মিসাইলে ঢেকে যায়। তবে এটা যুদ্ধের ট্রেলার মাত্র। আগামিদিনে এটা আরও বড় আকার নিতে চলেছে। এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। ইজরায়েল ইতিমধ্যেই হুঁশিয়ারি দিয়েছে, 'ইরান বড় ভুল করেছে, আমরা এমন বদলা নেব যে তারা কোনওদিনও ভুলবে না'। আর তারপর থেকেই ইজরায়েল কী করবে, তাই নিয়ে তৈরি হয়েছে সাসপেন্স।
চ্যানেল টুয়েলভে প্রকাশিত রিপোর্টে, এক সূত্রের দাবি, ইরানের মূল জায়গাগুলিতে হামলার প্ল্যান করছে ইজরায়েল। তার মধ্যে পড়ছে ইরানের খনিজ তেল উত্তোলন ও স্টোরেজ, প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেস কমপ্লেক্স, সুপ্রিম লিডার আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির অফিসিয়াল বিল্ডিং কমপ্লেক্স এবং রেভল্যুশনারি গার্ডের সদর দফতর। আগামি ৭ অক্টোবর ইজরায়েল ইরানে হামলা চালাতে পারে, এমন একটা সম্ভাবনা রয়েছে। ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রেও হামলা চালানো হতে পারে।
ইজরায়েল যদিও এই প্ল্যান নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে। ইজরায়েলের এক সরকারি কর্তা সংবাদসংস্থা এএফপি-র সাংবাদিককে কিছু আভাসমাত্র দিয়েছেন। তাতে তিনি বলেছেন, সেনাবাহিনী এই সপ্তাহের শুরুতেই ইরানে মিসাইল হামলার জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। নিজের নাম প্রকাশ না করার শর্তে এএফপিকে এই তথ্য দিয়েছেন তিনি।
ইজরায়েল ইরানের অর্থনীতি পঙ্গু করে দিতে পারে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশ দফতরের এক শীর্ষ আধিকারিক সিএনএনকে বলেন, ইজরায়েল যে পারমাণবিক সাইটে হামলা চালাবে না, এমন কোনও আশ্বাস মেলেনি। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই সপ্তাহের শুরুতেই বলেছিলেন যে, ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্র বা খনিজ তেল উত্তোলনের স্থানে ইজরায়েল হামলা চালালে সেটা USA সাপোর্ট করবে না।
কারণ এই জায়গাগুলিতে হামলা চালালে তা ইরানের অর্থনীতি এবং পরিকাঠামোতে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।
খার্গ দ্বীপ ইরানের বৃহত্তম তেলের টার্মিনাল। ইরান এখান থেকে তেল রফতানি করে। আর সেখানেই ইজরায়েল হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইজরায়েলের পাল্টা আক্রমণ বিশ্বব্যাপী প্রভাব ফেলবে
ব্লুমবার্গের রিপোর্ট অনুযায়ী, ইরান ইজরায়েলে হামলা চালানোর পর থেকেই পাল্টা হামলা ভয়ে রেডি রয়েছে। খার্গ দ্বীপের কাছে থাকা তেল ট্যাঙ্কারগুলি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। গোল্ডম্যান শ্যাক্সের মতে, ইজরায়েলের পাল্টা হামলায় ইরানের তেল উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হলে, তেলের দাম ব্যারেল প্রতি $ 20 বাড়তে পারে।