Advertisement

Iran Nuclear Program: ইরান এবার পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের রাস্তা সহজ করছে, বড় অ্যাকশনের পথে

ইজরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধরত ইরান, NPT অর্থাৎ পারমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইরানের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘেই বলেছেন যে ইরানের সংসদ এনপিটি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য একটি বিল প্রস্তুত করছে। তবে তিনি আরও বলেন যে তেহরান গণবিধ্বংসী অস্ত্র তৈরির বিরোধিতা করে।

 পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি থেকে বেরিয়ে যেতে পারে ইরান পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি থেকে বেরিয়ে যেতে পারে ইরান
Aajtak Bangla
  • দিল্লি,
  • 16 Jun 2025,
  • अपडेटेड 4:49 PM IST

 গত চার দিন ধরে ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে লড়াই চলছে। উভয় দেশই একে অপরের উপর আক্রমণ বৃদ্ধি করেছে। সোমবার সকালে ইরান ইজরায়েলের উপর তাদের সবচেয়ে বড় আক্রমণ চালায়। ইরানি সেনাবাহিনী সেন্ট্রাল  ইজরায়েলের বেশ কয়েকটি স্থানে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এর আগে ১৩ জুন ইজরায়েল ইরানের উপর বিমান হামলা চালিয়ে পরমাণু কেন্দ্রগুলিতে ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমা নিক্ষেপ করে। এদিকে, এই হামলার মধ্যে, ইরান সোমবার পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি সম্পর্কে একটি বড় ঘোষণা করেছে।

পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি নিয়ে ইরানের বড় ঘোষণা
ইরানের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘেই সোমবার বলেছেন যে দেশটির সংসদ এমন একটি আইন নিয়ে কাজ করছে যা ইরানকে পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি (NPT) থেকে বেরিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেবে। তবে তিনি আরও বলেন যে ইরান এখনও পরমাণু অস্ত্র তৈরির বিরুদ্ধে এবং তাদের এমন কোনও ইচ্ছা নেই।

পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি, যা এনপিটি নামেও পরিচিত, একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি। এর উদ্দেশ্য হল বিশ্বে পরমাণু  অস্ত্রের বিস্তার রোধ করা, পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারকে উৎসাহিত করা এবং ধীরে ধীরে পরমাণু অস্ত্র নির্মূল করা। এই চুক্তিটি ১৯৬৮ সালে প্রস্তুত করা হয়েছিল এবং ১৯৭০ সালে কার্যকর হয়।

 যদি সত্যি এটি ঘটে, তাহলে কেবল দক্ষিণ এশিয়াই নয়, সমগ্র বিশ্বই সমস্যায় পড়তে পারে। প্রসঙ্গত, NPT ঘোষণা করা হয়েছিল  ১৯৭০  সালে। এখন পর্যন্ত ১৮৭টি দেশ এতে স্বাক্ষর করেছে। যে দেশগুলি এতে স্বাক্ষর করেছে তারা ভবিষ্যতে পরমাণু  অস্ত্র তৈরি করতে পারবে না। তবে তারা শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পারমাণু  শক্তি ব্যবহার করতে পারবে। তবে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (IAEA) পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাবে। এটি বিশ্বে পরমাণু অস্ত্র নিয়ন্ত্রণকারী বৃহত্তম সংস্থা।

ইরানের NPT থেকে বেরিয়ে যাওয়ার  প্রভাব কী হবে
চুক্তি থেকে বেরিয়ে এলে ইরান প্রকাশ্যে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে সক্ষম হবে। যদি কোনও বড় দেশ এ থেকে বেরিয়ে আসে, তবে এটি অন্যান্য দেশের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।  সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী  এবং মিশরও বলতে পারে যে ইরান যদি পরমাণু অস্ত্র তৈরি করে, তাহলে আমরাও তৈরি করব।

Advertisement

কিন্তু এটা কি এতই সহজ?
এনপিটিতে লেখা আছে যে কোনও দেশ কেবল তখনই এটি থেকে বেরিয়ে আসতে পারে যখন তারা গুরুতর পরমাণু  হুমকির সম্মুখীন হয়। কিন্তু ইরান যদি বেরিয়ে যায়, তাহলে তারা সমস্যায় পড়বে। ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি এবং রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইরানের বিরুদ্ধে পুরনো তদন্ত পুনরায় চালু করা যেতে পারে। ইরানের সঙ্গে  পরমাণু  চুক্তি বন্ধ করার জন্য রাশিয়া এবং চিনের উপর চাপ প্রয়োগ করা হতে পারে। আমেরিকা, ইজরায়েল এবং অন্যান্য ইউরোপীয় দেশ ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য স্বাধীনতা পাবে।

বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে ইরান হুমকি দিলেও তারা তা করবে না। কারণ তারা জানে যে এনপিটি ত্যাগ করলে আমেরিকা এবং তার মিত্ররা আক্রমণ করার সুযোগ পাবে। শুধু তাই নয়, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ এর বিরুদ্ধে আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে, যা তাদের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিতে পারে। কোনও দেশ তাদের সঙ্গে  ব্যবসা করতে পারবে না।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement