Iran Reply on US Attacks: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাঘাতের হুঁশিয়ারি দিল ইরান। শনিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ৩টি পরমাণু কেন্দ্রে হামলা করে। এর প্রেক্ষিতে ইরানের বিদেশ মন্ত্রী সাইয়েদ আব্বাস আরাগচি পাল্টা জবাবের হুঁশিয়ারি দেন। বলেন, 'এই হামলা আন্তর্জাতিক আইন, রাষ্ট্র সংঘের নীতি এবং পরমাণু অস্ত্রের প্রসার রোধের যে চুক্তি(NPT) রয়েছে, তার বিরোধী।'
রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের স্টেটমেন্ট পোস্ট করেন আরাগ। লেখেন, 'আজ সকালে যা ঘটেছে, তা চূড়ান্ত নিন্দনীয়। এর ফল পেতে হবে। রাষ্ট্র সংঘের সদস্য, এমন প্রতিটি দেশেরই এই বিপজ্জনক, বেআইনি ও অপরাধমূলক আচরণের বিষয়ে সাবধান হওয়া উচিত।'
আমেরিকাকে সরাসরি 'অপরাধী' বলে উল্লেখ করেছেন ইরানের বিদেশ মন্ত্রী। আরাগচির কথায়, 'শান্তিপূর্ণ পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালানো হয়েছে। রাষ্ট্র সংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসাবে কোনও দেশের এই কাজ বড় ধরনের অপরাধ।'
ইরানের বিদেশ মন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, রাষ্ট্র সংঘের নিয়ম অনুযায়ী, এই পরিস্থিতিতে দেশের সার্বভৌমত্ব এবং জনগণের জন্য ‘আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগে'র ক্ষমতা আছে ইরানের। তিনি বলেন, 'রাষ্ট্র সংঘের নীতি অনুযায়ী আমাদের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। ইরান প্রতিটি অপশনই বিবেচনা করছে।'
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই হুঁশিয়ারির পর উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে। শনিবার রাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি প্রধান পরমাণু কেন্দ্র লক্ষ্য করে আঘাত হানে। ফোর্ডো, নাতাঞ্জ এবং ইসফাহান—ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু কেন্দ্রে সামরিক অভিযান চালায় ওয়াশিংটন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই অভিযানকে ‘অভূতপূর্ব সাফল্য’ বলে উল্লেখ করেন। বলেন, 'আমরা শান্তি চাই। ইরান যেন আর কোনও আগ্রাসী পদক্ষেপ না করে। আর যদি সেটা করেও, তা হলে আরও হামলা চালানো হবে।'
সংবাদমাধ্যমকে ট্রাম্প জানান, ফোর্ডো কেন্দ্রে ছ’টি ‘বাঙ্কার বাস্টার’ বোমা ব্যবহার করা হয়েছে। অন্যদিকে আরও এক রিপোর্ট অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবমেরিন থেকে ৩০টি 'টোমাহক' ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়।এগুলি গিয়ে নাতাঞ্জ ও ইসফাহানের পরমাণু কেন্দ্রে আছড়ে পড়ে। ইরানের উপকূলের প্রায় ৪০০ মাইল দূর থেকেই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে এই ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালানো হয়।