আমেরিকা এবার আরও এক বড় জঙ্গিকে নিকেশ করেছে। ইরাকে ইসলামিক স্টেট ইন ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া (ISIS)-এর মূল ঘাঁটি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পুরো অভিযানটিকে সফল বলে ঘোষণা করেছেন। ট্রাম্প বলেন, আবদুল্লাহ মাকি মুসলেহ আল-রিফাই ওরফে আবু খাদিজার সঙ্গে আরও একজন জঙ্গি নিহত হয়েছে। ইরাকি এবং কুর্দি বাহিনীর সহযোগিতায় এই সামরিক বিমান অভিযান চালিয়েছে আমেরিকা।
ইরাকি প্রধানমন্ত্রী মহম্মদ শিয়া আল-সুদানিও অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিহত আইএসআইএস নেতার নাম আবদুল্লাহ মাকি মুসলেহ আল-রিফাই, সে আবু খাদিজা নামেও পরিচিত। এক বিবৃতিতে আল-সুদানি ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনী এবং মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক অভিযানের প্রশংসা করেছেন।
আবু খাদিজাকে ইরাক এবং বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক সন্ত্রাসবাদীদের একজন হিসেবে বর্ণনা করেছেন সুদানের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আবু খাদিজার নির্মূল সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ইরাকের লড়াইয়ে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিজয়। ট্রাম্প তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ-এ এই খবরটি শেয়ার করেছেন। বলেছেন যে শক্তির মাধ্যমে শান্তি এসেছে।
ট্রাম্পের পোস্টের পরপরই হোয়াইট হাউস একটি ভিডিও শেয়ার করেছে। যেখানে আবু খাদিজাকে নির্মূল করার অভিযানের দৃশ্য দেখানো হয়েছে। ট্রাম্প বলেন, ইরাকি সরকার এবং কুর্দি আঞ্চলিক সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে এই অভিযান চালানো হয়েছিল। আবু খাদিজা এবং আরেক আইএসআইএস সদস্যের মৃত্যু হয়েছে।
আবু খাদিজা ছিল একজন শীর্ষ আইএসআইএস সদস্য, যে সংগঠনের মধ্যে তার মারাত্মক প্রভাবের জন্য পরিচিত ছিল। সংগঠনের কমান্ড কাঠামোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কারণে তাকে আইএসআইএস-র বিশ্ব নেতা বা খলিফার পদের সম্ভাব্য প্রতিযোগী হিসেবে বিবেচনা করা হত।
একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা অ্যাসোসিয়েটেডকে জানিয়েছেন, ইরাকের পশ্চিম আনবার প্রদেশে বিমান হামলা চালানো হয়েছিল। আরেকজন কর্তা নিশ্চিত করেছেন যে বৃহস্পতিবার রাতে এই হামলাটি চালানো হয়। শুক্রবার সিরিয়ার বিদেশমন্ত্রী আসাদ আল-শায়বানি ইরাক সফরে আসার সময় পুরো অভিযানের ঘোষণা করাহয়। ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উভয় দেশই সহযোগিতা করছে। ইরাকি বিদেশমন্ত্রী ফুয়াদ হুসেনের সঙ্গে এক যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে আল-শায়বানি বলেন, আমরা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইরাকের সঙ্গে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। সন্ত্রাসবাদের কোনও সীমানা নেই। আল-শায়বানি বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার জন্য ইরাক-সিরিয়া সীমান্ত পুনরায় চালু করার গুরুত্বও তুলে ধরেন। সিরিয়ার রাষ্ট্রপতি বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর নিরাপত্তার কারণে ডিসেম্বরে সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।