Advertisement

Israel And Iran Conflict : হানিয়ার মৃত্যুর পর প্রত্যাঘাত ইরানের, ইজরায়েলে মিসাইল হামলা; রেড অ্যালার্ট

ইরানের রাজধানী তেহরানে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার পর মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। রবিবার ভোররাতে লেবানন থেকে ইজরায়েলে কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়।

File PhotoFile Photo
Aajtak Bangla
  • দিল্লি ,
  • 04 Aug 2024,
  • अपडेटेड 8:03 PM IST
  • হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার পর মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বেড়েছে
  • রবিবার ভোররাতে লেবানন থেকে ইজরায়েলে কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়

ইরানের রাজধানী তেহরানে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার পর মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। রবিবার ভোররাতে লেবানন থেকে ইজরায়েলে কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। তখন একটানা সাইরেনের শব্দও শোনা যায়। এর পরই গোটা দেশে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে ইজরাইল। তবে দাবি করা হয়েছে, আয়রন ডন সব ক্ষেপণাস্ত্রই আকাশে ধ্বংস করে দিয়েছে।

লেবাননের হামাদা আল হারাজ বলেন,'ইসমাইল হানিয়ার মৃত্যুর খবর পেয়ে দুঃখ পেয়েছি। তাঁর মৃত্যু কাম্য নয়। তিনি সম্মানিত ব্যক্তি ছিলেন। তাঁর উপস্থিতি গাজার জন্য খুব প্রয়োজনীয় ছিল। যুদ্ধ থামানোর চেষ্টা তিনি চালিয়ে যাচ্ছিলেন। গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য কাজও করছিলেন।' এই হামলার পিছনে ইজরায়েলের হাত রয়েছে বলে দাবি করেছেন হানিয়া।

এদিকে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (IRGC) হানিয়া হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি তথ্য প্রকাশ করেছে। সেই মোতাবেক, হামাস প্রধান বিহত হয়েছেন যে ক্ষেপণাস্ত্রে তাতে ৭ কেজি বিস্ফোরক বোঝাই ছিল। এর আগে অনেক গণমাধ্যমে দাবি করা হয়েছিল যে হানিয়া বোমা বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন। 

আরও পড়ুন

এদিকে পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমেরিকা ও ব্রিটেন তাদের নাগরিকদের লেবানন ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছে। এর আগে ভারতও নাগরিকদের লেবানন ছেড়ে চলে যেতে বলেছিল। বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। ইজরায়েলও তাদের দেশে রকেট হামলার বিষয়ে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে।

হামাস নেতা হানিয়াকে হত্যার পর বিভিন্ন দেশে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। শনিবার গাজা সংলগ্ন জর্ডনে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানান। রানিয়া আল বায়ারি নামের একজন বিক্ষোভকারী জনগণকে রাস্তায় নামার আহ্বান জানান। 

ইরাকের রাজধানী বাগদাদেও একই ছবি দেখা গেছে। হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন। এই প্রতিবাদ মিছিলে হাজার হাজার মহিলা অংশ নেন। তারা ফিলিস্তিনি পতাকা ও হানিয়ার ছবি হাতে পায়ে হেঁটে মিছিল করেন। 

শনিবার বিখ্যাত হাগিয়া সোফিয়ার বাইরে হানিয়ার দেহ বের করে প্রতিবাদ জানান মৃতের অনুগামীরা। গত ৩০ জুলাই যেদিন হামাস নেতাকে হত্যা করা হয় সেদিন ইরানের রাষ্ট্রপতি পাজেশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। এর পর পুরো মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে।

Advertisement
Read more!
Advertisement
Advertisement