Advertisement

Iran-Israel Ceasefire: 'বোমা ফেলো না, এখনই ফিরে যাও', ইরানে আক্রমণের হুঙ্কারের পর ইজরালকে হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

মধ্যপ্রাচ্যে চলমান ইরান-ইজরায়েল সংঘাতের মধ্যে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বড় বিবৃতি দিয়েছেন। ট্রাম্প বলেছেন যে ইরান এবং ইজরায়েল উভয়ই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। তিনি বিশেষ করে ইজরায়েলের সমালোচনা করে বলেছেন যে যুদ্ধবিরতির পর এত তাড়াতাড়ি এত বড় আক্রমণ চালানো উচিত হয়নি।

 ইজরায়েলকে হুঁশিয়ারি ক্ষুব্ধ  ট্রাম্পের ইজরায়েলকে হুঁশিয়ারি ক্ষুব্ধ ট্রাম্পের
Aajtak Bangla
  • দিল্লি,
  • 24 Jun 2025,
  • अपडेटेड 5:42 PM IST

মধ্যপ্রাচ্যে চলমান ইরান-ইজরায়েল সংঘাতের মধ্যে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প  বড় বিবৃতি দিয়েছেন। ট্রাম্প বলেছেন যে ইরান এবং ইজরায়েল উভয়ই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। তিনি বিশেষ করে ইজরায়েলের সমালোচনা করে বলেছেন যে যুদ্ধবিরতির পর এত তাড়াতাড়ি এত বড় আক্রমণ চালানো উচিত হয়নি।

ট্রাম্প কড়া ভাষায় বলেন, 'ইজরায়েল, ওই বোমা ফেলো না। যদি  করো, তাহলে এটা একটা বড় ধরনের লঙ্ঘন। তোমার পাইলটদের অবিলম্বে দেশে ফেরত ডাকো।' ট্রাম্প আরও বলেন, 'যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার পরপরই ইজরায়েল আক্রমণ করেছে, এটা আমার পছন্দ নয়।'

 

ট্রাম্পের এই বক্তব্য এমন এক সময়ে এসেছে যখন ইজরায়েল এর আগে ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছিল, কিন্তু ইরান এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আরও বলেন যে ইরান কখনই তার পরমাণু কর্মসূচি পুনরায় শুরু করবে না। ট্রাম্প বলেছেন যে তিনি ইরানের সঙ্গে খুশি নন, সেইসঙ্গে ইজরায়েলের প্রতিও অসন্তুষ্ট।

ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধবিরতিতে কাতার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে
ইরান বলেছে যে বিয়ার শেভা শহরে আক্রমণের সময় তারা শেষ ক্ষেপণাস্ত্রটি ছুঁড়েছিল এবং এটি যুদ্ধবিরতি ঘোষণার আগের ঘটনা। ইরানি পক্ষ এটিকে আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছে এবং যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘনের কথা অস্বীকার করেছে। এই পুরো ঘটনায় কাতারও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। রিপোর্ট  অনুসারে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কাতারে  আমিরের সঙ্গে  ফোনে কথা বলেন এবং তাঁকে ইরানকে মার্কিন-সমর্থিত যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব গ্রহণে রাজি করানোর জন্য অনুরোধ করেন। এই ফোনালাপের পর, কাতারের প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগ নেন এবং ইরানকে এই প্রস্তাবে সম্মত হতে রাজি করান।

এক  মার্কিন কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'কাতারের আমির ইরানকে মার্কিন-সমর্থিত যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মত করিয়েছেন। ট্রাম্প এবং কাতারের আমিরের মধ্যে আলোচনার পর এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।' এর থেকেই স্পষ্ট যে কাতার এই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ মধ্যস্থতার ভূমিকা পালন করেছে।

Advertisement

ইজরায়েল এবং ইরানে আক্রমণ চালাচ্ছিল
এই যুদ্ধবিরতি এমন এক সময়ে হল যখন গত কয়েকদিন ধরে ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে তীব্র আক্রমণ চলছে, যেখানে উভয় পক্ষই একে অপরের সামরিক ও কৌশলগত ঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্য করে আক্রমণ চালিয়েছে। আমেরিকার ঘাঁটিতে সাম্প্রতিক বোমা হামলার পর উত্তেজনা আরও বেড়ে গিয়েছিল। তবে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরেও বিতর্ক চলছে। ট্রাম্পের সাম্প্রতিক বক্তব্য ইজরায়েলের সামরিক পদক্ষেপ নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একটি নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

Read more!
Advertisement
Advertisement