ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধে ঢুকে পড়ল আমেরিকার। এটা বলার কারণ হল গোলাবারুদ ভর্তি একটি আমেরিকান বিমান মঙ্গলবার গভীর রাতে ইজরায়েলে পৌঁছেছে। এই আমেরিকান বিমানে অত্যন্ত উচ্চ প্রযুক্তির গোলাবারুদ রয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিমানটি আমেরিকা থেকে ওড়ে এবং গভীর রাতে ইজরায়েলের নেবাটিম বিমান ঘাঁটিতে অবতরণ করে। বলা হচ্ছে, আমেরিকার এই গোলাবারুদ পাঠানোতে ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। আমেরিকা এই যুদ্ধে ইজরায়েলকে পূর্ণ সমর্থন জানালেও এর আগে গোলাবারুদ সরবরাহ শুরু হয়নি। এখন মনে করা হচ্ছে এর পরেও অনেক আমেরিকান বিমান গোলাবারুদ নিয়ে ইজরায়েলে পৌঁছতে পারে। এদিকে, মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন আজ (১১ অক্টোবর) ইজরায়েল সফরে যেতে পারেন।
বাইডেন সাহায্যের ঘোষণা করেছেন
ব্লিঙ্কেন বলেছেন যে তিনি ইজরায়েলের পক্ষে মার্কিন সমর্থনের বার্তা নিয়ে আসবেন। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও ইজরায়েলের প্রতি পূর্ণ সমর্থনের ঘোষণা দিয়েছেন। মঙ্গলবার গভীর রাতে (ভারতীয় সময়) তিনি বলেন যে আমেরিকা ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে। ইসরায়েলে এক হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। তরুণদের হত্যা করা হয়েছে। অনেক পরিবার তাদের প্রিয়জনের লাশের জন্য অপেক্ষা করছে। বিশ্বের প্রতিটি দেশের মতো ইজরায়েলেরও সন্ত্রাসবাদী হামলার বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানানোর অধিকার রয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলেছেন
বাইডেন আরও বলেছেন, 'সন্ত্রাসবাদীরা নারীদের ধর্ষণের পর প্যারেড করেছে। নারী ও শিশুদের বন্দি করা হয়। এটা পরিষ্কার সন্ত্রাস। দুঃখের বিষয়, ইহুদিদের প্রতি এমন নৃশংসতা ইতিমধ্যেই ঘটছে। আমি ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছি। আমাদের প্রতিক্রিয়া দ্রুত এবং অপ্রতিরোধ্য হতে পারে। তবে আমরা আইন অনুযায়ী কাজ করব। আমরা যুদ্ধের নিয়ম মেনে চলি।
যুদ্ধে ১৮০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু
এই যুদ্ধে এখনও পর্যন্ত ১৮০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ইসরায়েলে মৃতের সংখ্যা ১২০০ জনেরও বেশি। আহত হয়েছেন কমপক্ষে আড়াই হাজার জন। একই সময়ে, গাজা উপত্যকায় ৮৩০ জন প্যালেস্তানি অসামরিক মানুষ মারা গেছেন। কমপক্ষে সাড়ে ৪ হাজার জন আহত হয়েছেন। ইজরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে যে তারা তাদের এলাকায় ১ হাজার ৫০০ জন সন্ত্রাসবাদীকে হত্যা করেছে।
এভাবেই হামলা চালিয়েছে হামাস
ইজরায়েলে হামলা চালানোর পুরো পরিকল্পনা আগেই তৈরি করে রেখেছিল সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হামাস। হামাসের ৫টি ইউনিট এই পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন করেছিল। প্রথমত, সকাল সাড়ে ৬টায় মিসাইল ইউনিটের মাধ্যমে ৩ হাজার রকেট ছোড়া হয়। এত বড় হামলায় হতবাক হয়ে যায় ইজরায়েলের মানুষ। এরপর সন্ত্রাসবাদীরা প্যারাগ্লাইডার দিয়ে এয়ারবোর্ন ইউনিটের মাধ্যমে ইজরায়েলে প্রবেশ করে। তারপর কমান্ডো ইউনিট মাটিতে বেড়া কেটে দেয় এবং গাজা উপত্যকা থেকে ইজরায়েলে প্রবেশ করে। এ সময় হামাসের ড্রোন ইউনিট হামলা ও তথ্য সংগ্রহে ব্যস্ত থাকে।